এছাড়াও দমদম কেন্দ্রের সাংসদ মুখ্যমন্ত্রীর চোট পাওয়া নিয়ে BJP-র কটাক্ষ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেরকম দুর্ঘটনা হয়েছে তাতে মুখ্যমন্ত্রীর জীবন যেতে পারত। হেলিকপ্টারের সিঁড়ি ছোট ছিল। ঠিকমতো নামতে না পেরে ওনার পায়ে এবং কোমরে আঘাত লেগেছে। এই নিয়ে সবার উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কিন্তু BJP কতটা নিচে নেমেছে তা বোঝা যায় যে ওনার চোট নিয়েও কটাক্ষ করছে।
ওদের তো মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই বার্তা দেওয়া উচিত। তা না করে ওরা উলটোপালটা কথা বলে যাচ্ছে’। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, ‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বুঝবে এই ধরনের স্লোগান দেওয়া উচিত কিনা। তবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ক্ষোভ আছে।
উনি যে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্য সরকারকে জিজ্ঞাসা না করে, তাতে বিভ্রান্তি হচ্ছে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের ক্ষতি হচ্ছে। সুতরাং রাজ্যপাল এটা বুঝুন যে এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে যথেষ্ট ক্ষোভ আছে’। এদিন সৌগত রায় কথা বলেন দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ নিয়েও।
বলেছেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে কাগজে কলমে বললে হবে না। শাক সবজি সব জিনিসের দাম বাড়ছে। BJP কিছুই করতে পারছে না’। এদিন তৃণমূল সাংসদ পান্ডুয়ায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। তারপর জনসংযোগ করেন। সৌগত রায় বলেন, ‘আমরা দলীয় কর্মীদের বলেছি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে।
নিরপেক্ষ ভোট হবে। পান্ডুয়াতে গ্রাম সভার সব আসনেই আমরা জিতব। এবং অবশ্যই পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদেও জিতব। কর্মীদের বলছি মানুষের কাছে যান ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেসব প্রকল্প আছে, সেগুলো তুলে ধরে মানুষের আশীর্বাদ চান’। জেলায় দলের টিকিট না পেয়ে অনেকেই নির্দল প্রার্থী হয়েছেন।
তাঁদের উদ্দেশ্যে সাংসদ বলেন, ‘পারলে লিফলেট ছাপিয়ে জানিয়ে দিন যে আমরা ভোটে লড়ছি না। কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যারা দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোটে লড়বেন তাঁদের পরে আর দলে নেওয়া হবে না’।