সংরক্ষিত আসনে TET পাশের জন্য কত নম্বর প্রয়োজন? এই নিয়ে বিভক্ত ডিভিশন বেঞ্চ। দুই বিচারপতি ভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। TET পাশের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসনে ৫৫ শতাংশ নম্বর ধার্য ছিল। পরীক্ষা হয়েছিল ১৫০ নম্বরে। সেই অর্থে ৮২.৫ নম্বর পেলেই পাশ।

এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৮২ পাওয়া TET প্রার্থীদের মান্যতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ ও এনসিটি-র রিপোর্ট উল্লেখ করেছিলেন। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন কিছু প্রার্থী।

Panchayat Election 2023 : পঞ্চায়েত ভোটে CBI তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য
তাঁদের বক্তব্য ছিল, ৮২ নম্বর পেলে পাশ করানো যাবে না। ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা গৃহীত হয়েছিল। বুধবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চে।

সিঙ্গল বেঞ্চের রায় অর্থাৎ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে সঠিক মেনে মত দেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। যদিও সুপ্রতিম ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, ৮২.৫ নম্বর পেলেই পাশ করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে তা ৮৩ হতে পারে। কমানো সম্ভব নয়। যেহেতু নম্বর নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মধ্যে মতান্তর রয়েছে সেক্ষেত্রে এই মামলাটি যাবে তৃতীয় বেঞ্চে।

Calcutta High Court : CBI তদন্ত নয়! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ
উল্লেখ্য, গত বছর ৩ নভেম্বর সিঙ্গল বেঞ্চ এই নিয়ে উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছিল। ২০১৭ ও ২০১৪ সালের টেট মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে সংরক্ষিত আসনে টেট পাশের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন , যে সমস্ত প্রার্থীরা ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের উত্তীর্ণ হওয়ার স্বীকৃতি দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে NCTE-এর নিয়ম উল্লেখ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

সারা দেশেই ৮২ পেলে TET পাশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই বিষয়টি নজরে রেখেই যাতে সিঙ্গল বেঞ্চ নম্বরের বিষয়টি বিবেচনা করেন এমনটাই আবেদন ছিল আবেদনকারীদের।

WB Upper Primary Recruitment : উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের আশা ফের পিছিয়ে গেল
এরপরেই সংরক্ষিত আসনে ৮২ নম্বরে পাশ, এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ হাজার প্রার্থী ইতিমধ্যে ৮২ পেয়ে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ দিয়েছে।

২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ২০১৭ সালে TET পাশ করা পরীক্ষার্থীরা ২০২২-এর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়াতেও অংশ নেন। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে TET পাশের মাপকাঠি যদি বদল হয় সেক্ষেত্রে একাধিক প্রার্থীর উপর প্রভাব পড়তে পারে। এমনকী, নতুন করে জটিলতার আশঙ্কাও করছেন অনেকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version