এমন পরিস্থিতি যে হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করাও যাচ্ছে না। ফলে বিড়ম্বনায় পড়েছেন পাত্র পক্ষের লোকজন। জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার মোহিনীগঞ্জের বাসিন্দা সজল মাহাতোর বিয়ে ছিল গত ২৮ শে জুন। বিয়ে হওয়ার কথা লক্ষ্মনীয়া এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে। সেই মতো বিয়ের সব প্রস্তুতি সারা ছিল পাত্রের বাড়ির লোকজনদের। বাজার ঘাট, পাড়ার লোকজনকে নিমন্ত্রণ সবই সম্পন্ন ছিল। দাম্পত্য জীবন যাতে সুখের হয় সেজন্য বিয়ের একদিন আগে পাত্রের বাড়িতে ধুমধাম করে সত্যনারায়ণ পুজোর আয়োজন করা হয়। পাড়ার প্রচুর মানুষকে পাতপেড়ে খাওয়ানো হয়।
কিন্তু সেই পুজোর প্রসাদ খেয়েই বমি, পেট ব্যাথা সহ একাধিক উপসর্গ দেখা দেয় অনেকের মধ্যে। এরপর তড়িঘড়ি ৩৩ জনকে রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি করা হয় পাত্র সজল মাহাতোকেও। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে বাড়ি লোকেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুজোর প্রসাদে বিষক্রিয়ার জেরেই এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে।
শুভ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আগে এমন ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ওই বিয়ে। পাত্রের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বিয়েটা সম্পন্ন করা যেতে পারত। কিন্তু ছেলের শারীরিক অসুস্থতা এতটাই যে সেই পরিকল্পনাও বাতিল করা হয়েছে। ফলে পুজোর প্রসাদ খেয়ে পণ্ড ছেলের বিয়ে।
আমন্ত্রিত অতিথিদেরও বিয়ের ভোজ খাওয়ার আশা আপাতত জলে। ওই পরিবারের এক সদস্য রামকুমার মাহাতো বলেন, ‘একটা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। শুধু পাত্র না, বাকি যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। বাড়ির মধ্যেই রাঁধুনি দিয়ে রান্না করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও কিভাবে এই ঘটনা ঘটল, কিছুই বোঝা যায়নি এখনও’।