ফ্লেক্স বা ব্যানার নয়, বেশ কয়েক বছর পরে আবারও পুরনো রীতিতেই ফিরছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। আবারও সেই দেওয়ালকেই ব্যবহার করা হচ্ছে প্রচারের মাধ্যম হিসেবে। দেওয়ালে লেখা ছড়া ছবি ও কার্টুন দেখে বেশ মজা পাচ্ছেন জনতা জনার্দন। নদিয়ার তেহট্ট, পলাশী পাড়ার বিভিন্ন গ্রামের এই ধরনের ছড়া বা কার্টুনের দেখা মিলছে। কোথাও বিজেপি তৃণমূলের সমলোচনা, তো কোথাও আবার সিপিএম-এর হয়ে ফলাও করে লেখা ছড়া। রয়েছে মজার মজার কার্টুনও।
যেমন সিপিএম বেশ কিছু জায়গায় লিখেছে, ‘বিজেপির এমন যাদু, চোর থেকে সবাই সাধু।’ কোথাও লেখা আছে, ‘আতা গাছে তোতা পাখি ডালিম গাছে মৌ, চোর ডাকাত দুই দলকে ভোট দিও না কেউ।’ আবার এক জায়গায় লেখা, ‘বুক ফুলিয়ে চলিস যে তুই কিসের এত জোর? সিপিএম করি দাদা কেউ বলে না চোর।’ সিপএম-এর হয়ে দেওয়ালে এই ছড়া লেখা বা কার্টুন আঁকার কাজটা করছে যুব সংগঠন। তাদের দাবি, এই ভাবে জনবহুল এলাকায় ছড়া বা কার্টুন এঁকে প্রচার করলে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে।
অন্যদিকে আবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করে তৃণমূলও জনবহুল এলাকায় ছড়া ও কার্টুনের মধ্যে দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। তৃণমূল যেমন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লিখছে, তেমনই তৃণমূল থেকে বেড়িয়ে যাওয়া মানুষদের বিজেপি প্রার্থী করেছে, সেই নিয়েও কার্টুন এঁকে প্রচার চালান হচ্ছে। তৃণমূল যেমন লিখেছে, ‘পদ্ম ফুলে দিলে ছাপ, ঘরে ঢুকবে কেউটে সাপ।’ কোনও দেওয়ালে আবার লেখা আছে, ‘হৃদ মাঝারে তৃণমূল, পঞ্চায়েতে তৃণমূল।’ আবার বিজেপি লিখছে, ‘যে লাল সেই সবুজ, মানুষ আর নেই অবুঝ।’
বিভিন্ন দলের এই ছড়া বা কার্টুন মন কেড়েছে মানুষের। এলাকার প্রবীণ নাগরিকরা বলছেন, অনেক আগে এই ভাবে দেওয়াল লিখনে কার্টুন বা ছড়ার চল ছিল। মাঝে অনেক দিন তা দেখা যায়নি। এবার আবার বিভিন্ন দেওয়ালে এই ছড়া বা কার্টুন দেখা যাচ্ছে। তবে তাঁরা এও বলছেন যে, এই ছড়া বা কার্টুন যেন শালীনতার সীমা না ছাড়ায় সেটাও রাজনৈতিক দলগুলির দেখা উচিত। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দাবি, এইভাবে দেওয়াল লিখনের মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানো যায়। তাই নানারকম ছড়া লেখা বা কার্টুন আঁকা হয়েছে।