জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘ক্ষমতা থাকলে রিপোর্ট কার্ড আনুন’। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, আগামিদিন যদি কোথাও বিজেপি প্রার্থী জেতে, আপনি আপনার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
উনিশের লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে গেরুয়াঝড়। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের। এই কেন্দ্র জিতেছেন বিজেপির জন বার্লা। পঞ্চায়েত কী হবে? আলিপুরদুয়ারে প্রচারে অভিষেক। এদিন ফালাকাটায় জনসভা করলেন তিনি।
অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি ২০১৯ সালে জিতে এখানকার সাংসদ জন বার্লা, তার দুটি কাজ দিল্লির পা চেটে নম্বর বাড়ানো আর বাংলার মানুষের বিরোধিতা করে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আপনারা যাদের ভোটে দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, সেই বিজেপি সাংসদ বিধায়করা দিল্লিতে গিয়ে বলছে, বাংলার মানুষের টাকা বন্ধ করে দাও’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘বাংলার মানুষ দু’বেলার জায়গায় ১ মুঠো ভাত খেয়ে থাকবে, কিন্তু বহিরাগতদের কাছে মাথা নিচু করবে না, বশ্যতা স্বীকার করবে না। পঞ্চায়েত ভোটের পর দিল্লির বুকে বৃহত্তর আন্দোলন তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠিত করবে’।
আলিপুরদুয়ারে কী কী উন্নয়নের কাজ করেছে সরকার? সভামঞ্চ দাঁড়িয়ে সেই খতিয়ান তুলে ধরেন অভিষেক। বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস আলিপুরদুয়ারে হয়তো জেতেনি। কিন্তু চা শ্রমিকদের অধিকারের লড়াইয়ে সামনে থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করেছে। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ইতিমধ্য়েই ১২৬৮ পরিবারকে চা-বাগানের শ্রমিকদের জমির পাট্টা দিয়েছে। যে কটা চা-বাগান বন্ধ ছিল, একটা ছাড়া প্রায় ৬৭টা চা-বাগান চালু হয়ে গিয়েছে। শ্রমিকরা কাজ করছে, টাকা পাচ্ছে। সিপিএমে আমলে দৈনিক মজুরি ছিল ৬৮ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ২৩২ টাকা করল কে, তৃণমূল কংগ্রেস আবার কে’!
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: জঙ্গলমহলে ভাঙছে কুড়মি ঐক্য, নীরবে ঘর গুছিয়ে নিয়েছে শাসকদল!
‘তৃণমূল নবজোয়ার’ কর্মসূচির প্রসঙ্গে টেনে অভিষেক বলেন, দু’মাস রাস্তা থেকেছি, ঘর-পরিবার, মা-বাবা,. সংসার, বাচ্চা সব ছেড়ে, আপনাদের জনমত সংগ্রহ করেছি। মানুষ যাকে মান্যতা দিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে, পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকেই দাঁড় করিয়েছে। অন্য কোনও দল করে দেখাতে পারেনি’।