তিনি এও বলেন, ‘জনগন যেভাবে সচেতন হচ্ছে, মানুষের মনের মধ্যে বিস্ফোরণ হচ্ছে তাতে যদি কেউ ভোট লুট করতে আসে, তাহলে গণতান্ত্রিক উপায়ে তাকে আটকানো হবে। এই নির্বাচনে যে সংখ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নেওয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। আমাদের দাবি হয় পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হোক নাহলে নির্বাচনের দফা বৃদ্ধি করা হোক।
যা আদালতে জানানো আছে’। শাসকের পক্ষ থেকে বিরোধীদের ওপরে আক্রমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন। যার উত্থান আছে তার পতনও আছে। তবে এক্ষেত্রে পতন কিভাবে হবে সেটাই দেখার’। নওশাদ বলেন, ‘হাওড়া জেলার অনেক জায়গাতেই প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আমাদের প্রার্থীদের বাড়িতে এবং আত্মীয়দের বাড়িতেও গিয়েও হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। তার মধ্যেও অনেকেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করানো হয়েছে’।
এদিকে, এদিনই ডোমজুড়ে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে আসেন অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়। মাকড়দহ এলাকায় মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে। সায়নী ঘোষকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, ‘এটা এখন নতুন ট্রেন্ড বা স্ট্র্যাটেজি।
ভুল বা ভুলের প্রশ্রয়কারীদের তৃণমূল কংগ্রেস প্রাধান্য দেয় না। প্রমাণিত হলে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, তার আগে নয়। এখন শুধু তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কোনও আইনি পদক্ষেপ তো তাঁর বিরুদ্ধে হয়নি। তাই আগে থেকেই কাউকে নিয়ে কিছু ভেবে থাকাটা ভুল’।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তিনি বলেন, ‘চারিদিকে শুধুই তৃণমূল। বিরোধীদের হাওড়া জেলায় দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সব জায়গায় এত উন্নয়ন হয়েছে যে মানুষ তৃণমূলকে ছাড়া আর কাউকেই চাইছেন না’।