তখনই গ্রামের বেশ কিছু জন তাঁদের রাস্তা আটকায় এবং গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয়। আর তারপরেই অশান্তির ভয়ে তড়িঘড়ি গ্রাম ছাড়েন কংগ্রেস প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা। তাঁরা গ্রাম থেকে বেরিয়ে যেতেই দেখা যায় ওই গ্রামবাসীদের তৃণমূলের স্লোগান দিতে। যদিও স্লোগান দেওয়া মানুষদের দাবি করেছেন তাঁরা সাধারণ গ্রামবাসী। এই ঘটনায় কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পাচ্ছে কারণ যদি ঠিক ভাবে ভোট হয় তাহলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে ওদের। সেই কারণেই সাধারণ গ্রামবাসী সেজে তৃণমূল কর্মীরা আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু যতই যাই করুক, যদি নিরপেক্ষ ভোট হয়, তাহলে ভোটের ফলাফলে তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কারণ সাধারণ মানুষ তৃণমূলের ওপর ক্ষিপ্ত’। এদিকে বিক্ষোভ দেখানো এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা কোনও দল করিনা। কিন্তু আমরা এখানে আর কোনও দলকে প্রচার করতে দিচ্ছি না কারণ বিরোধীদের ভোটের সময় ছাড়া আর দেখা যায় না। ভোট পেরোলেই বিরোধী নেতারা হাওয়া হয়ে যান।
আমাদের আপদে বিপদে তৃণমূল নেতারাই থাকেন। তাঁদের আমরা সবসময় পাশে পাই। তাই আমরা তৃণমূলকেই ভোট দেব। বিরোধীদের এখানে প্রচারের দরকার নেই’। যদিও কংগ্রেস প্রার্থীর মতে এরা সবাই তৃণমূল কর্মী। স্থানীয় গ্রামবাসী সেজে বাধা দিয়েছে প্রচারে। আর অন্যদিকে বীরভূম জেলা পরিষদের ১১ নম্বর আসনের প্রার্থীকেও এই ভাবেই হুমকি দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
এরপর খবর দেওয়া হয় থানায় এবং পরে পুলিশ এলে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে পুনরায় প্রচার সারেন বাম কংগ্রেসের জোট প্রার্থী। এভাবেই বীরভূম জেলার জায়গায় জায়গায় কংগ্রেস ও বাম প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।