জানা গিয়েছে, এই বিভাগে জন্মগত সমস্যা সংক্রান্ত শিশুদের ফিজিওথেরাপি, অফথেমোলজি, অডিওলোজি, সাইকোলজি ও ডেন্টাল সমস্যার চিকিৎসা হবে। শিশুদের এইসব সমস্যার চিকিৎসার জন্য এতদিন মহকুমা ও জেলার বাসিন্দাদের কলকাতায় যেতে হতো। সেই সমস্যার নিরসন করা হল। এবার জেলার হাসপাতালেই মিলবে এই চিকিৎসা পরিষেবা
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপার স্পেশালিটি বিভাগের প্রথম তলায় প্রাথমিকভাবে এই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে হাসপাতার সংলগ্ন নির্মীয়মান নতুন ভবনে এই বিভাগটি স্থানান্তর করা হবে। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি ইন্দিরা দত্ত বলেন, ‘হুগলি জেলার মধ্যে প্রথম এখানে ডিইআইসি চালু হল। আধুনিক চিকিৎসার সবসরকম সুবিধা পাওয়া যাবে। ব্যায়বহুল এই চিকিৎসার জন্য কলকাতা বা ভিন রাজ্যে যেতে হবে না।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উন্নতমানের এই চিকিৎসা পরিষেবা রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে বড়সড় ভূমিকা নেবে। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শিশু বিভাগে ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসা এক গৃহবধূ বলেন, ‘শিশুদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আর এক ধাপ এগিয়ে গেল এই মেডিক্যাল কলেজ।’
জন্মগত ত্রুটিজনিত শিশুদের চিকিৎসা এখানেই দ্রুত শুরু হলে অনেক শিশুই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবে।কেননা সদ্যজাত অবস্থায় চিকিৎসা শুরু হলে তার জটিল সমস্যার সমাধান অনেকটাই সম্ভব। সবমিলিয়ে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নতুন বিভাগ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বর মাসে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে রাজ্যের ছয়টি নতুন মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আরও পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে হুগলি জেলার আরামবাগের প্রথম মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধন করা হয়। আরামবাগ প্রফুল্ল চন্দ্র সেন মেডিক্যাল কলেজে গভর্নমেন্ট এন্ড হাসপাতাল ১০০ আসন নিয়ে কাজ শুরু হয়। নভেম্বর মাসেই সর্বভারতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিলের ছাড়পত্র মেলে।
উল্লেখ্য, হুগলি জেলায় প্রথমে তারকেশ্বরে এই মেডিক্যাল কলেজ হওয়ার কথা ছিল। তবে উপযুক্ত জমি না পাওয়ায় আরামবাগে মেডিক্যাল কলেজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তৎকালীন আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর উদ্যোগে আরামবাগে শুরু হয় দ্রুত জমি খোঁজা। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন নন্দীর তত্ত্বাবধানে পাওয়া যায় জমি। ২০২২ সালে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়।