বিধান সরকার: ডাস্টার দিয়ে মেরে ছাত্রের নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে সরব অভিভাবকরা। ঘটনাটি উত্তরপাড়া অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠ প্রাথমিক স্কুলের।

বুধবার উত্তরপাড়া অমরেন্দ্র বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগে চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন কয়েকজন ছাত্র বেঞ্চের উপর লাফালাফি করছিল। অভিযোগ, সোমনাথ রায় নামে এক ছাত্র শিক্ষক আশিষ আদককে সেই বিষয়ে বলতে  গেলে শিক্ষক উলটে ওই ছাত্রকেই ডাস্টার দিয়ে মেরে নাক ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ। তারপর ওই ছাত্রের কলার ধরে টানতে টানতে তাকে ক্লাসের বাইরে নিয়ে যেতে থাকেন। সেই সময় ওই ছাত্রের নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখে, অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষিকারা তাকে উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রকে উত্তরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় তার বাড়িতে। এই ঘটনায় ছাত্রের মা শেফালি রায় উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনার পর এদিন স্কুলে অভিভাবকরা জড় হন। অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি করেন তাঁরা। ক্ষোভ প্রশমনে অভিভাবকদের নিয়ে স্কুল পরিচালন সমিতি এবং প্রধান শিক্ষক মিটিং করেন। তাদের সই সংগ্রহ করা হয়। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি স্থানীয় কাউন্সিলর উৎপলাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ উঠেছে। আমরা গতকাল রাতে বিষয়টি জানতে পারি। আজকে অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। তাদের দাবি আমরা স্কুল পরিদর্শকের কাছে পৌঁছে দেব।’

পাশাপাশি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘ছাত্রকে যেভাবে মারধর করা হয়েছে সেটা ঠিক হয়নি। আমরা দেখতে পেয়েই হাসপাতালে নিয়ে যাই চিকিৎসার জন্য। শিক্ষকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা আমি বলতে পারব না। তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটা উচিত নয়। একেবারেই ছোট শিশু এই ছাত্ররা। তাদের ভালোবেসে পড়াতে হবে। হয়তো বড় স্কুল হওয়ায় ছাত্রসংখ্যা বেশি। তবুও নিজেদের আরও একটু দায়িত্বশীল হতে হবে।’ এদিকে ঘটনার পর আজ আর স্কুলে আসেননি অভিযুক্ত শিক্ষক।

আরও পড়ুন, ক্লাস চলাকালীন আচমকা বেঞ্চ থেকে পড়ে মাটিতে, স্কুলেই মৃত্যু ছাত্রীর!

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version