শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ভোটের আগেরদিন মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জানা গিয়েছে হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন তিনি। বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনারকে তীব্র তিরস্কার করেছেন রাজ্যপাল। এই ঘটনার মাঝেই জানা গিয়েছে এই নতুন খবর। এর আগেই ভাঙড়, ক্যানিং এবং দিনহাটার মতো জায়গায় গিয়েছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার বিবৃতিও দিয়েছেন তিনি। নিজের বিবৃতিতে রাজ্যপাল প্রশ্ন তুলেছেন ‘এত হিংসা, এত প্রাণের দায় কার?’   

জানা গিয়েছ শুক্রবার সকালে ৬.৫০ মিনিটের ট্রেনে মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁর মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পরিকল্পনা চলছিল কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি। এবার ভোটের ঠিক আগেরদিন সেখানে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।

গত কয়েকদিন ধরেই মুর্শিদাবাদ থেকে টানা হিংসার অভিযোগ করা হচ্ছে বিরোধীদের তরফে। সেই পরিস্থিতিতেই রাজ্যপালের এই সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে যে বিভিন্ন জায়গা থকে ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন অভিযোগগুলো এসেছে সেই সব জায়গাতেই নিজে গিয়েছে রাজ্যপাল। এরমধ্যে রয়েছে ভাঙড়, ক্যানিং, দিনহাটার মতো জায়গা। এর রেশ ধরেই শুক্রবার মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন রাজ্যপাল।

যদিও তাঁর এই সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের পাঠানো পত্রে স্পষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে যে রাজ্যপাল যেভাবে এখানে যাচ্ছেন তাতে তিনি মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গ করছেন। সেই চিঠির পরেও শুক্রবার মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন: SSKM: সাড়ে ১২ নম্বর ঘিরে রহস্য ! উডবার্নের এই কেবিনটির বিশেষত্ব কী?

যদিও মুর্শিদাবাদে তাঁর চূড়ান্ত কর্মসূচী এখনও ঠিক হয়নি কিন্তু যে বিষয়টি জানা গিয়েছে যে মুর্শিদাবাদে গিয়ে তিনি সেখানকার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। পাশাপাশি প্রয়োজনে যে বিভিন্ন এলাকাগুলি থেকে মূলত তাঁর কাছে যে তথ্য এসেছে সেই এলাকাগুলিতে তিনি যেতে পারেন। অর্থাৎ যেখান থেকে অভিযোগ এসেছে সেই সমস্ত এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষ এবং যারা আক্রান্ত হয়েছেন বা যারা অভিযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারেন এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: কেমন আছেন মমতা? মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে গেলেন অভিষেক!

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি বলে একটা জিনিস হয়। ১৪৪ বলে একটি ধারা হয়। সেখানে একজন রাজ্যপাল তিনি একটি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি যদি সংবিধান বহির্ভূতভাবে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভেঙে নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে এই ধরনের কাজ করেন তাহলে আমরা তো আপত্তি তুলবই। আজকে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা দেখার জন্য প্রশাসন রয়েছে। এই মুহূর্তে এটা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোলে। সেখানে রাজ্যপাল একটা সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর চেষ্টা করছেন, তিনি বিভ্রান্তিকর মন্তব্য দিচ্ছেন। পিস রুম খুলছেন। এগুলো এর আগে কখনও হয়নি। আমি সেই জন্যই বার বার বলছি, কোথাও একটা আমার মনে হচ্ছে তিনি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন’।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)         

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version