এদিকে, অবরোধ উঠতেই আচমকাই এক লাঠিধারী সিভিক ভলান্টিয়ার লাঠি উঁচিয়ে CPIM-র মহিলা সমর্থকদের দিকে তেড়ে এলে পালটা আন্দোলনকারীরা তাড়া করেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে। পালটা প্রতিরোধে পালিয়ে যান ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। এরপর পুলিশের সামনে সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদাগিরিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুচিপাড়া সংলগ্ন জাতীয় সড়ক।
পুলিশকে ঘিরে ধরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। কোনোক্রমে পুলিশ এসে সামাল দেয় পরিস্থিতি। CPIM-এর জেলা নেতা পঙ্কজ রায় সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই ব্যক্তি সিভিক নন। শাসক দলের কর্মী। তাই ওভাবে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এসেছিল। কোনও পুলিশ কর্মী বা সিভিক ভলান্টিয়ার কখনও ওভাবে লাঠি নিয়ে মহিলাদের দিকে তেড়ে আসবে না। আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে। তাই এসব কাণ্ড করছে।’
এদিকে, রানীগঞ্জের জেমেরি পঞ্চায়েতে চলবলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৩ নম্বর বুথে তৃণমূলের বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দ্বারা হামলার অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা।
যদিও বিরোধীদের সম্মিলিত বাধায় পিছু হটে ওই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, চলবলপুরে ৩৩ নম্বর বুথ দখল করতে বহিরাগতদের নিয়ে বুথ দখল করতে যায় তৃণমূল বলে অভিযোগ। প্রথমে তাঁদের লাঠিসোটা নিয়ে খেঁদিয়ে দেওয়া হয় গ্রাম থেকে।
এরপরে আবার বেশি পরিমানে লোকজন নিয়ে আবার হামলা চালাতে আসে তৃণমুল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, এমনি অভিযোগ সাধারণ মানুষের। ফের বাধা পেয়ে পালটা হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি বুথেও হামলা চালানো হয়। বেশ কিছুক্ষন ভোট গ্রহন বন্ধ থাকে এই কারণে।
অন্যদিকে একই পঞ্চায়েতের জেমেরি গ্রামে একই কায়দায় বহিরাগতদের নিয়ে বুথ দখল করতে গেলে এক তৃণমূল নেতাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর নাম বিশ্বরুপ রায় চৌধুরী। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামবাসীরাই তাঁকে মারধর করেছেন। যদিও ওই তৃণমূল নেতা জানান, এর পিছনে BJP কর্মীদের হাত আছে।