এই সময়, কেশপুর: হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেও রেহাই পেলেন না ভোট-সংঘর্ষে জখমরা। সেখানেও আক্রান্ত হলেন কংগ্রেসকর্মীরা। শনিবার দুপুর নাগাদ বুথের সামনে কংগ্রেস ও তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে কেশপুরের উঁচাহার গ্রামে। জখম হন দু’পক্ষের মোট ৩ জন। প্রত্যেকেরই মাথায় আঘাত লাগে। সবচেয়ে গুরুতর আঘাত ছিল তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির মাথায়।

পৃথক দু’টি অ্যাম্বুল্যান্সে তিন জনকে চিকিৎসার জন্যে আনা হয় হাসপাতালে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামানোর পরেই জখম দুই কংগ্রেসকর্মীর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েন হাসপাতালে হাজির কয়েক জন তৃণমূলকর্মী। হাসপাতাল চত্বরেও সংঘর্ষ বাধে। মাথার ব্যান্ডেজ ভিজে রক্ত ঝরছে, সেই আবস্থাতেও প্রাণরক্ষায় প্রতিরোধ করেন কংগ্রেসকর্মীরা।

WB Panchayat Vote 2023 Live : হটস্পট ভাঙড়! দফায় দফায় সংঘর্ষ-বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ ISF কর্মী
সংঘর্ষ থামাতে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের ভিতর থেকে ছুটে আসেন তৃণমূলেরই এক নেতা। উল্লেখ্য, উঁচাহারেই দাঁড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মডেল প্রার্থী তৃণমূলের শেখ হসিনুদ্দিন। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী আব্দুল জব্বর মল্লিক।

সকাল থেকে শান্তিতেই ভোট চলছিল উঁচাহার হাইস্কুলের বুথে। তাল কাটে দুপুরে। বুথে যান তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থী মহম্মদ রফিক। প্রিসাইডিং অফিসার এবং দলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে দলীয় অফিসে চলে যান রফিক। তার পরেই শুরু হয় কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষ।

West Bengal Panchayat Election 2023: দুপুর গড়াতেই বলি ১১! শাসক-বিরোধীর রক্তে রাঙা বাংলার ‘রেড স্যাটার্ডে’
জখম হন কংগ্রেসের দুই কর্মী তসলিম আরিফ, রাজু মল্লিক এবং তৃণমূলের ১১ নম্বর কলাগ্রাম অঞ্চল সভাপতি কাজি শাহাদত। সংঘর্ষ নিয়ে দু’পক্ষ একে অন্যের বিরুদ্ধে আঙুল তোলে। গ্রামপঞ্চায়েতে কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল জব্বর মল্লিক বলেন, ‘৩ কিলোমিটার দূর থেকে দলবল নিয়ে এসে আমার পোলিং এজেন্ট-সহ কর্মীদের আক্রমণ করেছে তৃণমূলের বাহিনী।’

West Bengal Panchayat Election 2023 : কেন যে গেলাম মারামারি করতে! হাসপাতালে বেডে আক্ষেপ দু’দলের দুই কর্মীরই
পালটা তৃণমূলের মহম্মদ রফিক বলেন, ‘পার্টি অফিসে এসে আক্রমণ করেছে কংগ্রেসেরই লোকজন।’ সংঘর্ষের পর একটি অ্যাম্বুল্যান্সে কাজি শাহাদতকে আনা হয় কেশপুর হাসপাতালে। আসেন তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মীও। হাসপাতালের দোতলায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা যখন তাঁর চিকিৎসায় ব্যস্ত তখন আর একটি অ্যাম্বুল্যান্সে পৌঁছন দুই জখম কংগ্রেস কর্মী।

তাঁরা চিকিৎসার জন্যে ভিতরে ঢোকার মুখে তাঁদের উপরে চড়াও হন তিন-চার জন তৃণমূলকর্মী। সিঁড়ি থেকে মারতে মারতে তাঁদের নামিয়ে আনা হয় হাসপাতালের বাইরে। ওই দু’জনের সঙ্গে আসা এক যুবককে বেধড়ক মারতে থাকেন তৃণমূলকর্মীরা। তা দেখে প্রতিরোধ করতে যান জখম কংগ্রেসকর্মী তসলিম আরিফ, রাজু মল্লিক।

West Bengal Election 2023 : রক্তমাখা পঞ্চায়েত! উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে বুথেই কুপিয়ে খুন
এমন সময়ে হাসপাতালের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে কেশপুরের প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় পান দলের কর্মীদের ধমক দিয়ে সংঘর্ষ থামায়। জখম কংগ্রেস কর্মীদের চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালের ভিতরে পাঠান। ওই সময়ে হাসপাতাল চত্বরে হাজির ছিলেন মহম্মদ রফিকও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version