মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: সোমবার রাজ্যের কয়েকশো বুথে পুননির্বাচন শেষ। মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকেই শুরু হয়ে যাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে চলবে গণনা। জেলায় জেলায় এনিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। গণনাকেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভোট গণনার সময় ব্যালট পেপারের সত্যতা যাচাইয়ের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। ত্রিস্তরীয় নির্বাচন ও ব্যালটে ভোট গ্রহণ হওয়ায় ইভিএম-এর থেকে দেরিতে ভোট গণনা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-দেশে আসছে আরও রাফাল ফাইটার ও সাবমেরিন, প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরেই ঘোষণা!
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে থাকবেন একজন করে অবজারভার। প্রতিটি জেলায় একজন করে বিশেষ অবজারভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। এর দায়িত্বে থাকবে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকবে প্রয়োজন মতো রাজ্য পুলিসের সশস্ত্র বাহিনী। থাকছে সিসিটিভির নজরদারি। মঙ্গলবার রাজ্যের ৩৩৯টি গণনাকেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে গণনা শুরু হওয়ার কথা। মনে করা হচ্ছে শর্টিং করে গণনা শুরু করতে সকাল নটা বেজে যেতে পারে।
এদিকে, গণনা বিতর্কমুক্ত করতে নিয়ম করা হয়েছে, ব্যালট পেপারের সামনে ও পেছনে প্রিসাইডিং অফিসারের সাক্ষর না থাকলে সেই ব্যালট পেপার গ্রাহ্য় হবে না। সেই নির্দেশ জেলায় জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত দিয়ে গণনা শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ব্যালটের গণনা হবে। প্রথম গণনার ফল জানানো হবে কাউন্টিং টেবিল থেকেই। পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের গণনার ফল ঘোষণা করবেন বিডিও নিজে।
গণনাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। টেবিল পর্যন্ত বিশেষ অফিসাররাই একমাত্র মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন। গণাকেন্দ্রের চারপাশে জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। ব্যালটে ছাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ভোটার কোথায় ভোট দিতে চেয়েছেন তা যদি বোঝা না যায় তাহলে সেই ব্যালট বাতিল হবে। কোনও ভোটার যদি তাঁর নাম-পরিচয় ব্যালটে লিখে দিয়ে আসেন তাহলে ব্যালট বাতিল হবে। কোনও ব্যালট যদি ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে ব্যালট বাতিল হবে। গড় ২ রাউন্ড করে গণনা হবে।