আর আজ সোমবার আবার অনেক জায়গাতেই পুনরায় নির্বাচন চলছে। তার মধ্যে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশ কিছু বুথও। সেই কারণেই মানুষ আরও এই সময়টা এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন অনেকেই। তবে ব্যবসায়ীদের আশা, মঙ্গলবার ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পর রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে ইতি পড়তে চলেছে।
আর তারপরেই আবার চেনা ছন্দে পর্যটকদের ঢল নামবে সৈকত শহরে। দিঘার পর্যটন ও মৎস্য ক্ষেত্রের সঙ্গে বহু মানুষের রুজি রুটি জড়িত রয়েছে। স্থানীয় লোকজন যেমন রয়েছেন, তেমনি রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বহু মানুষ এই দু’টি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত।
এইরকমই প্রচুর মানুষ এই কদিন ছুটি নিয়ে নিজের বাড়ি গিয়েছেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। বুধবারের আগে এদের মধ্যে অনেককেই আবার দিঘাতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সেই কারণেও আরও ফাঁকা রয়েছে দিঘা শহর ও সমুদ্র সৈকত। স্থানীয় এক হোটেল ব্যবসায়ী এই বিষয়ে বলেন, ‘দুই দিন আগে কোলাহলে মুখরিত ছিল দিঘা।
সেটি এখন প্রায় ফাঁকা। স্থানীয় কর্মীরা ভোটের কাজে ব্যস্ত। সেজন্য তাঁরা ছুটি নিয়েছেন। আর যাঁরা আলাদা জেলার বাসিন্দা, তাঁরা ভোট দেওয়ার জন্য বাড়ি গিয়েছেন। পর্যটক এখন নেই বললেই চলে। অল্প সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। কর্মীরা ফিরে এলেই মঙ্গলবারের পর চেনা ভিড় হবে বলে মনে হচ্ছে’।
দীর্ঘ প্রায় সাত কিমি বরাবর নতুন করে সেজে উঠছে দিঘার বিচ। আরও মনোরম করা হচ্ছে বিচকে। পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই রাজ্যের বাঙালিরা আরও বেশি বেশি করে দিঘামুখী হয়েছেন।
বিদেশি পর্যটকদেরও ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে দিঘা, এমনটাই জানাচ্ছেন সকলে। তাই ভোটের এই কদিন শহর ফাঁকা থাকায় মন খারাপ হয়েছে অনেকেরই। সেই কারণেই আগামী বুধবার থেকে ভিড় বাড়ার আশায় দিঘা।