এই হামলার ফলে গুরুতর জখম হন ওই BJP প্রার্থী ও সমর্থক। এদিকে হামলার ঘটনা শুনেই রবিবার রাতে নিজের বিধানসভা নন্দীগ্রামে গিয়ে গুরুতর জখমদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে তাঁদের কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূলের ছাপ্পা, মারধরে ঘটনাকে তীব্র ধিক্কার জানিয়ে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে একহাত নেন তিনি। বলেন, ‘কোনও ধরনের নির্বাচন করার যোগ্যতাই নেই এই নির্বাচন কমিশনের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দালাল হয়ে গিয়েছে সব। যেরকম নির্দেশ দেওয়া হবে, সেরকম কাজ করবে।
মেরুদণ্ড বলে কিছু নেই। একের পর এক জায়গাতে BJP কর্মী প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে, তাঁদের বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ সব দেখে শুনে ঘুমোচ্ছে। কোনও ভুমিকাই নেই প্রশাসনের’। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের হাতে প্রচুর মানুষের রক্ত লেগে রয়েছে।
এক মুহূর্ত এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। এই রকম হিংসা রাজ্যের মানুষ আজ পর্যন্ত দেখেননি’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসা বেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। জায়গায় জায়গায় বিরোধীদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও তাঁদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হচ্ছে ক্রমাগত, অভিযোগ এমনই। প্রায় বেশিরভাগ বুথে শুরু হয়েছে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের পর থেকেই শুরু হয়েছে এই ঘটনা। শনিবার ভোট শেষ হয়ে গেলেও হিংসা, মারামারি, বোমাবাজি এখনও বন্ধ হয়নি। শনিবার দিনভর বুথে বুথে চলেছে ব্যালট লুঠ, ছাপ্পা ভোট ও মারধর। একদিনের বেশি পেরিয়ে গেলেও এখনও সেই ঘটনা অব্যাহত রয়েছে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে।