জানা গিয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৮টি আসনের মধ্যে ১৭-টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। শুধুমাত্র একটি আসনেই সিপিএম-এর টিকিয়ে জয়ী হন গীতা হাঁসদা। কিন্তু জয়ের পরেই দল বদল করেন তিনি। গীতা বলেন, ‘আমি তৃণমূলই করতাম, একটা কারণের জন্য সিপিএম-এ গিয়েছিলাম। আমি সিপিএম-এ জিতেছি। এখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। একা তো পঞ্চায়েতে কিছু করতে পারব না। ওই জন্যই তৃণমূলে যোগ দিলাম।’ যদিও এই ঘটনায় পালটা সিপিএম-এর অভিযোগ, চাপের কারণে দল থেকে তৃণমূলে গিয়েছেন গীতা হাঁসদা। যদিও এই অভিযোগ মানতে রাজি নয় তৃণমূল।
এদিকে বর্ধমানের জামালপুর ব্লকে দুই বান্ডিল ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী। ধৃতের নাম রূপসোনা মল্লিক। তিনি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পাঁচরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে ২ বান্ডিল ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। এরপরেই তাঁকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। ওই তৃণমূল প্রার্থীকে আটক করে জামালপুর থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের হাটকালনাতেও এদিন চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপি সমর্থকদের মেরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিআরপিএফ। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা।
প্রসঙ্গত, এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। সময় যত এগিয়েছে ততই প্রকাশ্যে এসেছে গ্রাম বাংলার ‘রায়’। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যালট বাক্সের ফলে দেখা যায়। এবারেও বাংলার রং কার্যত সবুজ। তবে বিজেপি-তথা অন্য বিরোধীরা যে একেবারে খালি হাতে ফিরেছে এমনটা বলা যায় না। বহু পঞ্চায়েতই দখল করতে দেখা যায়, বিজেপিকে। এছাড়াও আরও বেশকিছু পঞ্চায়েতে ভাল অবস্থায় রয়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও একবার পঞ্চায়েত সবুজ ঝড়ের আবহে ইতমধ্যেই উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। শুরু হয়েছে সবুজ আবির খেলা ও মিষ্টিমুখ।