আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা বারাবনি। এই বিধানসভায় সালানপুর এবং বারাবনি। এই দুটি ব্লকেই বিরোধীরা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বারাবনি ব্লকে ৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবগুলিই তৃণমূলের দখলে। সালানপুর ব্লকেও ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবই তৃণমূলের। আসনের নিরিখে বারাবনিতে ১১৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১৬ টি তৃণমূলের। একটি ক’রে আসন পেয়েছে BJP ও সিপিএম । বারাবনি পঞ্চায়েত সমিতির ২৩ টি এবং সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতি ২৮ টি আসনের কোনওটিও বিরোধীরা পায়নি। সবগুলি দখল করেছে তৃণমূল। একই ভাবে রানীগঞ্জ ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ৫ টি ও সিপিএম ১ টি দখল করেছে। জামুড়িয়া ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সবগুলিই তৃণমূলের। যদিও আসনের নিরিখে বামেরা অনেকটাই এগিয়ে এসেছে।
বামদূর্গ জামুড়িয়া, রানীগঞ্জে আবারও লাল আবির উড়তে দেখা গেল। জামুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোতে ১১২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৯৫ টি আসন। সিপিএম পেয়েছে ১৩ টি। সেখানে BJP মাত্র ২। জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির কোনও আসন বিরোধীরা কেউ পায়নি। ২৫ টি আসনের সবগুলিই তৃণমূলের।
তবে অনেকেই ভেবেছিলেন BJP বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বিধানসভা এলাকায় রানীগঞ্জ গ্রামীণে ভালো ফল করবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু সেখানেও তলানিতে ঠেকল BJP। বরং সিপিএম অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করেছে রানীগঞ্জে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯৩ টি আসনের মধ্যে BJP মাত্র ২ টি আসন পেয়েছে। সেখানে সিপিএম ১০ টি আসনে জয় পেয়েছে। তৃণমূল পেয়েছে ৮১ টি আসন। পঞ্চায়েত সমিতির ১৬ টি আসনের সবগুলিই তৃণমূলের। অন্যদিকে, জেলায় ১৮ টি জেলা পরিষদের সব আসনেই তৃণমূল জয় পেয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ গঠন করতে চলেছে তৃণমূল। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।