জিততে না পারলেও BJP-কে অনেকটাই পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখলেন দীপ্সিতার মা। হাওড়ার বালি জগাছা ৪১ নম্বর জেলা পরিষদের প্রার্থী ছিলেন SFI-এর সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধরের মা দীপিকা ধর। তৃণমূলের কাছে পরাজিত হলেও জোর টক্কর দিলেন গেরুয়া প্রার্থীকে।


কত ভোট পেলেন দীপ্সিতার মা?

রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বালি জগাছার ৪১ নম্বর জেলা পরিষদের প্রার্থী দীপিকা ধর পেয়েছেন মোট ৮ হাজার ৯৩৭টি ভোট। তাঁকে ৯ হাজার ৩৩৫ ভোটে হারিয়ে এই জেলা পরিষদের আসন ছিনিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী তুষার ঘোষ। তবে দাঁত ফোটাতে পারেনি BJP। এই আসনে BJP প্রার্থী নির্মলেন্দু সামন্তর প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৭৩৮।

Dipsita Dhar : রক্তক্ষয়ী পঞ্চায়েতের শেষবেলায় শারীরিক হেনস্থার শিকার দীপ্সিতা, পার পেলেন না প্রার্থীর মা-ও
কী বলছেন দীপ্সিতা?

মায়ের ভোটের ফল প্রসঙ্গে দীপ্সিতা ধর বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফলের সময় আমাদের এজেন্টরা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমরা না থাকায় সেখানে যে আদৌ গণনা হবে সেটাই ভাবা যায় না। আমরা আদালতে গিয়েছিলাম। কলকাতা হাইকোর্ট বালি জগাছার বিডিওকে তলব করেছে। বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্ট থাকাকালীন যেখানে জেতা প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে আমরা না থাকায় যে কী হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে। এটা কোনও গণনাই হয়নি। একটা জেলা পরিষদে ১০ হাজার ভোটে জেতা, কোনও সুস্থ মানুষ বিশ্বাস করবে না।”

CPIM West Bengal : ভোটকর্মী হিসেবে কী অভিজ্ঞতা সরকারি কর্মীদের? জানতে ‘ফর্ম’ বিলি বামেদের

নির্বাচনের দিন মারধরের অভিযোগ

দীপ্সিতা ধরের অভিযোগ ছিল, “বালি ঘোষপাড়া বালিকা বিদ্যাপীঠে নির্বাচন কেন্দ্রে স্থানীয় তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করা হয়। প্রার্থী, প্রার্থীর এজেন্ট সহ আমি আক্রান্ত হই। আমরা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখনই দেখলাম বহিরাগত কিছু তৃণমূল এসে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করছে। আমরা বাধা দিতেই হামলা চালানো হয়। আমার হাত ফুলে গিয়েছে। একইসঙ্গে দুর্গাপুরে বীণাপানি স্কুলে প্রায় ২০০ লোক ঢুকিয়ে দেদার ছাপ্পা ভোট চলছিল। আমাদের তরফ থেকে বাধা দেওয়া হয়। আমার মায়ের চশমা ভেঙে দেওয়া হয়।”

Malda Panchayat Result : জয়ী প্রার্থীদের সার্টিফিকেট না দেওয়ার অভিযোগ, মালদায় বিক্ষোভে BJP

প্রার্থীদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে দীপ্সিতার বলেন, “তৃণমূলের লোকজন মারধর করেছে। কিন্তু, যতক্ষণে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এসেছে ততক্ষণে হামলা হয়ে গিয়েছে। সিভিক পুলিশদের দিয়ে তৃণমূল ভোট বানচাল করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। আমাদের এলাকা কখনই উত্তেজনাপ্রবণ নয়। আমার সময়ও কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু, তৃণমূল নেতা কল্যাণ দাসের নেতৃত্বে গন্ডোগোল করার চেষ্টা চলেছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version