রাজ্যসভায় বিজেপির তরফ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রধান অনন্ত মহারাজকে। কিন্তু তারপরেও অতিরিক্ত একজনকে মনোনয়ন জমা করানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। সেই মতো বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেন রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি রথীন্দ্র বসু। এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক নেতা জানান, দল অতিরিক্ত প্রার্থী দিয়ে রাখছে, কারণ প্রথম প্রার্থী নিয়ে কোনও সমস্যা হলে যাতে বিকল্প একজনকে রাখা যায়। তবে প্রথম প্রার্থীর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হলে দ্বিতীয় জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবেন বলে সেই সময়ই ইঙ্গিত দেওয়া হয়। আর এবার বাস্তবেও তেমনটাই দেখা গেল।
এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেন, সাকেত গোখলে, সামিরুল ইসলাম ও প্রকাশ চিক বরাইককে। এই ৬ জনের মধ্যে ডেরেক ও’ব্রায়েন বর্তমানে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা। এছাড়া সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেনও রাজ্যসভার সদস্য। তবে বাকি ৩ জনকে প্রথমবার টিকিট দিল তৃণমূল।
অন্যদিকে, অনন্ত মহারাজকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। দীর্ঘদিন ধরেই গ্রেটার কোচবিহারের দাবিতে সরব গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন। সেই অ্যাসোসিয়েশনেরই প্রধান অনন্ত মহারাজ। কোচবিহারকে পৃথক রাজ্য হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার বহু বছর ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
প্রঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের দিনই বিজেপির প্রার্থী হিসেবে অনন্ত মহারাজের নাম প্রকাশ্যে আসে। ওই দিন বিকেলে অনন্ত মহারাজের বাড়িতে যান কোচবিহারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সূত্রের খবর, অনন্ত মহারাজের বাজিতে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন নিশীথ প্রামাণিক। সেখান থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই অনন্ত মহারাজের চকচকার বাড়িতে যান নিশীথ। সেই দিনই বিজেপির প্রস্তাব গ্রহণ করেন অনন্ত মহারাজ।
অনন্ত মহারাজকে রাজ্যসভার প্রার্থী করে বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘মোক্ষম চাল’ দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ। কারণ কোচবিহারে বিজেপির সংগঠন অন্যান্য জেলার তুলনায় বেশ মজবুত। আর তার ওপরে অনন্ত মহারাজকে প্রার্থী করায়, ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোচবিহারে বিজেপি বেশকিছুটা ‘অ্যাডভান্টেজ’ অবস্থাতেই থাকল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।