এই সময়: স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তদের কাছ থেকে ইডির বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াল ১২৬ কোটি টাকা। এই মামলায় এর আগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। এবার আরও তিন জেলবন্দি অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অয়ন শীলের সম্পত্তিও ফ্রিজ় করা হল।

এনিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা ফ্রিজ় করা হল। তার মধ্যে কুন্তল, শান্তনু, অয়নের মোট ১৫ কোটির সম্পত্তি রয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। আবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর এক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই রাজ্যের আরও এক বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল। চল্লিশ পাতার ওই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ছাড়াও এজেন্ট সুব্রত সামন্ত রায়ের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Recruitment Scam : কুন্তলের সেলের সামনে ২ সন্দেহভাজনের আনাগোণা! নেপথ্যে কোন রহস্য?
দু’জনের আঁতাঁতে কী ভাবে বিভিন্ন জেলার চাকরিপ্রার্থীদের থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে ওই নবম-দশমে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে। শুক্রবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে জমা পড়া চার্জশিটে জীবনকৃষ্ণ ও সুব্রতর বিরুদ্ধে গোয়েন্দারা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, জালিয়াতি, তথ‌্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ এনেছেন।

পাশাপাশি দুর্নীতিদমন আইনের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, মুর্শিদাবাদ ছাড়া আরও কয়েকটি জেলায় এজেন্টদের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তুলেছেন বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণ রাজ্যের অন্তত পাঁচটি জেলায় টাকা তছরূপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত রয়েছেন বলেও দাবি করা হয়েছে চার্জশিটে।

Anubrata Mondal : প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতেও বয়ান রেকর্ড কেষ্টর? আর্জি আদালতে
বাড়িতে তল্লাশির সময়ে জীবনকৃষ্ণ নিজের দু’টি মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলেছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। অভিযোগ, তথ্য-প্রমাণ লোপাটের জন্যেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। চার্জশিটে তারও উল্লেখ রয়েছে। ভয়েস রেকর্ডিং, বৈদ্যুতিন নথিপত্রের বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে।

শনিবার আবার ইডি’র বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন কুন্তলের আইনজীবীরা। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেননি বিচারক। তাঁকে ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় গত ২০ জানুয়ারি কুন্তলকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কুন্তলের আইনজীবীদের যুক্তি, ইডি’র আধিকারিকরা তাঁর ফ্ল্যাট থেকে কোনও টাকা পাননি।

Sukanya Mondal : সুকন্যার জামিন-আর্জি, রায় ১২-য়
তাঁর দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ছ’কোটি টাকার যে লেনদেনের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ নেই। প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আংটি কাণ্ডেও এ দিন শুনানি ছিল ইডি’র বিশেষ আদালতে। জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ১৫ দিন অন্তর এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version