ভোটে মারামারি ও গণ্ডগোল করায় ধৃত তৃণমূল কর্মী তথা আদালতের মুহুরিকে জেল হেফাজতে পাঠানোর জেরে বিচারকের এজলাস বয়কট করার অভিযোগ উঠল বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। বিচারক অসীমানন্দ মণ্ডলের এজলাস ৫ দিন ধরে বয়কট করেছে বার অ্যাসোসিয়েশন।

জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনার দিন গণ্ডগোলে জড়িত ছিলেন রতন মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মী। পেশাগত ভাবে তিনি দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের মুহুরি। অভিযোগ ভোটের গণনার দিন বিরোধী দলের কর্মীদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের মধ্যে একজন রতন মণ্ডল। এরপর ১২ তারিখে আদালতে পেশ করা হয় ধৃতদের। রতনকে আদালত কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। জামিনের আবেদন করা হয় অভিযুক্ত রতনের পক্ষ থেকে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরের দিন থেকেই এজলাস বয়কটের অভিযোগ দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে।

বুদবুদের মহাকালী বিদ‍্যালয়ে ভোট গণনা কেন্দ্র করা হয়েছিল। গণনার দিন কেন্দ্রে ঢোকার আগেই বিরোধী দল গুলির প্রার্থী-সহ কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের ২ জন-সহ সিপিএম ও বিজেপির প্রায় ১০ জন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। যদিও তৃণমূল অভিযোগের কথা অস্বীকার করে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চাক তেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের স্বামী রতন মণ্ডল-সহ ১১ জনকে গ্রেফতার করে। রতন পেশায় আদালতের মুহুরি।

বিস্তারিত আসছে…



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version