পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। তবুও অশান্তি কমার লক্ষণ নেই রাজ্য জুড়ে। মঙ্গলবার রাতে নির্দল প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ BJP-র বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির পারিজাত নগর এলাকার ঘটনা। নির্দল প্রার্থীর স্বামী বাসুদেব বৈরাগ্য এই বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, ‘নিমো ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪০ নং বুথে আমার স্ত্রী মনিকা বৈরাগ্য নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন এবং ১৪১ নং বুথে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়ান আমার বৌদি চামেলি বৈরাগ্য।

Post Poll Violence : BJP-র পোলিং এজেন্টের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা, উত্তেজনা বনগাঁয়
১৪১ নং বুথে তৃণমূল প্রার্থী চামেলি বৈরাগ্যকে হারিয়ে BJP প্রার্থী হরিদাস মণ্ডল জেতার পর থেকেই আমাদের হুমকি দিচ্ছে এবং হার চুরির অপবাদ দিচ্ছে’। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকালও আমাদের হুমকি দেয়। তারপরই রাতের দিকে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে পালায় BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।

Hooghly Panchayat Result : ভোট গণনা শেষ হতেই উত্তপ্ত আরামবাগ! চলল গুলি, অভিযুক্ত BJP
যদিও হুমকি দেওয়া ও বোমা মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছে BJP। BJP প্রার্থী হরিদাস মণ্ডল দাবি করে বলেন, ‘ওরা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে বোমা ছুঁড়ে অন্যের নামে দোষ চাপাচ্ছেন। BJP কে কলুষিত করতেই এই মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। BJP এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। পুলিশ ভালো করে তদন্ত করুক’।

Bardhaman News : তৃণমূলকে ফাঁসাতে নিজের বাড়িতেই ঘটালেন বোমা বিস্ফোরণ! গ্রেফতার CPIM প্রার্থী
সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে যে নমুনা পাওয়া গিয়েছে তা বাজির। বোমার যে ধরণের উপকরণ থাকে তা মেলেনি। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

TMC Party Office : ২১শে জুলাইয়ের তোড়জোড়ের মাঝেই তৃণমূলের পার্টি অফিস লক্ষ্য করে বোমা! আতঙ্কে সদস্যরা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয় পূর্ব বর্ধমানের গলসি। রাজনৈতিক সংঘর্ষে ভাঙচুর হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ঘর। লাঠি, রড দিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হন দুই পক্ষের মোট ৬ জন। আর মঙ্গলবার মেমারি।

West Bengal Panchayat Election Post Poll Violence : টাঙির কোপ-বোমাবাজি-গুলি থেকে জয়ী প্রার্থীকে মারধর, ভোটের পরেও রক্তে লাল বাংলা
অর্থাৎ, পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পর প্রায় ১১ দিন কেটে গেলেও এখনও গোটা জেলা জুড়ে রাজনৈতিক হিংসা থামার নাম নেই। আর এই কারণেই রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ অভিযোগের আঙুল তুলছেন প্রশাসনের দিকে। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্নই করে চলেছেন গ্রামের মানুষ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version