১৪১ নং বুথে তৃণমূল প্রার্থী চামেলি বৈরাগ্যকে হারিয়ে BJP প্রার্থী হরিদাস মণ্ডল জেতার পর থেকেই আমাদের হুমকি দিচ্ছে এবং হার চুরির অপবাদ দিচ্ছে’। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকালও আমাদের হুমকি দেয়। তারপরই রাতের দিকে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে পালায় BJP আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
যদিও হুমকি দেওয়া ও বোমা মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছে BJP। BJP প্রার্থী হরিদাস মণ্ডল দাবি করে বলেন, ‘ওরা নিজেরাই নিজেদের বাড়িতে বোমা ছুঁড়ে অন্যের নামে দোষ চাপাচ্ছেন। BJP কে কলুষিত করতেই এই মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। BJP এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। পুলিশ ভালো করে তদন্ত করুক’।
সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে যে নমুনা পাওয়া গিয়েছে তা বাজির। বোমার যে ধরণের উপকরণ থাকে তা মেলেনি। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই কাজ করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয় পূর্ব বর্ধমানের গলসি। রাজনৈতিক সংঘর্ষে ভাঙচুর হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ঘর। লাঠি, রড দিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হন দুই পক্ষের মোট ৬ জন। আর মঙ্গলবার মেমারি।
অর্থাৎ, পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পর প্রায় ১১ দিন কেটে গেলেও এখনও গোটা জেলা জুড়ে রাজনৈতিক হিংসা থামার নাম নেই। আর এই কারণেই রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ অভিযোগের আঙুল তুলছেন প্রশাসনের দিকে। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্নই করে চলেছেন গ্রামের মানুষ।