এমনকি আদালতে তোলার সময় গ্রেফতার হওয়া কংগ্রেস নেতা রাজেশ শেখকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি কংগ্রেস করি তার জন্য এটাই আমার প্রাপ্তি। আমাকে মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হয়েছে। তবে আইন আইনের পথে চলবে। দেখা হবে লড়াইয়ের ময়দানে’। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৪শে এপ্রিল নিজ বাসভবনে রাতের অন্ধকারে খুন হন চিকিৎসক মদন লাল চৌধুরী। ওই ঘটনায় তাঁর ভাড়াটিয়া সহ পাঁচজনকে খুন হওয়ার ৭ দিনের মধ্যেই গ্রেফতার করে নলহাটি থানার পুলিশ। তারপর এই চার মাসের মাথায় হঠাৎই গ্রেফতার করা হল এই কংগ্রেস নেতাকে।
আর এই ঘটনা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। প্রতিবাদ মিছিলে শামিল এক কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের ওপর পুলিশ অত্যাচার চালাচ্ছে। তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসন একযোগে এই কাজ করছে। আর এখন সব কিছু মিটে যাওয়ার পর মিথ্যে মামলায় রাজেশ শেখকে ফাঁসিয়েছে পুলিশ। এই কারণেই আমরা ধিক্কার মিছিল বের করেছি। অবিলম্বে রাজেশ শেখকে মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই দিতে হবে’। যদিও তৃণমূল এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের দাবি, পুলিশ পুলিশের কাজ করছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
এদিকে, খয়রাশোল থানার সামনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে BJP। জানা যায়, খয়রাশোল থানার জামরান্দ গ্রামের BJP-র আনন্দ ঘোষ নামের এক কার্যকর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের অভিযোগ, খয়রাশোল থানার পুলিশ অন্যায়ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। BJP-র জেলা সাধারণ সম্পাদক টুটুন নন্দী বলেন, ‘ভোটের দিনে আমাদের ব্লক মণ্ডল সভাপতি সহ একাধিক কার্যকর্তাকে মারধরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী, আঁখি অধিকারী সহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ করেছিলাম।
কিন্তু খয়রাশোল থানার OC সেসব নাম বাদ দিয়ে উলটে BJP কার্যকর্তাদের গ্রেফতার করছে। যতক্ষণ না আনন্দ ঘোষকে ছাড়া হবে আমরা খয়রাশোল ব্লক অচল করে দেব’।