পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের দিন বাংলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির দৃশ্য সামনে এসেছিল। তপ্ত হয়েছিল গোটা বাংলা। এদিকে নির্বাচন এবং ফলাফল ঘোষণার দিন নিয়ম মোতাবেক বন্ধ ছিল পানশালা। স্বাভাবিকভাবে মন খারাপ ছিল সুরাপ্রেমীদের। এদিকে ভোটের ফলাফলের দিন অশান্তির কোনও প্রভাব কি পড়েনি সুরাপ্রেমীদের মদ তৃষ্ণায়? অন্ততপক্ষে পূর্ব মেদিনীপুরের আবগারি দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য এমনটাই জানান দিচ্ছে।

আবগারি দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরের দিন অর্থাৎ ১২ জুলাই মদ বিক্রি হয়েছে চার কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৮।

Alcohol Business: বিশেষ মদ তৈরি করবে এই রাজ্য! গোয়া থেকে পদ্ধতি শিখতে পাঠানো হবে আধিকারিক
এদিন জেলায় খোলা ছিল ২৭৬টি দোকান। বিদেশি মদকে দশ গোল দিয়ে বিক্রির নিরিখে দ্বিগুণের বেশি এগিয়ে দেশি মদ। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ওই দিন পূর্ব মেদিনীপুরে দেশি মদ বিক্রি হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৯৭ লিটার এবং বিদেশি মদ বিক্রি হয়েছে ২৭ হাজার ৯২৪ লিটার। পাশাপাশি বিয়ার বিক্রি হয়েছে ৪৫ হাজার ৫৫৮ লিটার।

Alcohol Shop: মদের দোকান খোলার ব্যাপক সুযোগ! এই 18টি এলাকায় লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে হাফ দামে
একদিনে এই বিক্রি রীতিমতো রেকর্ড বলেই মতামত ওয়াকিবহাল মহলের। উল্লেখ্য, নিয়ম মোতাবেক ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে মদের দোকানগুলিতে যাবতীয় বিক্রি বাটা বন্ধ রাখতে হয়। ৮ জুলাই ছিল রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তাই ৬ জুলাই বিকেল ৫টা থেকে ৮ জুলাই বিকেল ৫টা পর্যন্ত মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে, ১১ জুলাই ছিল নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা এবং ১০ জুলাই ছিল কিছু জায়গায় পুনর্নিবাচন। ফলে বলা যেতে পারে টানা প্রায় পাঁচ দিন মদের বিক্রির উপর প্রভাব পড়েছিল।

Alcohol Shop: মদের দোকান খোলার বাম্পার সুযোগ হাজির! এই 93টি এলাকায় লাইসেন্স পাওয়া যাবে সহজেই
মূলত মদ খাইয়ে প্রভাবিত করা এবং অশান্তি ছড়ানোর একটা অভিযোগ ওঠে। সেই জায়গা থেকেই এই নির্দেশ বলে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর ফলে মদ ব্যবসা বড়সড় ধাক্কা খেতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের এক মদ ব্যবসায়ীর কথায়, “চার পাঁচ দিনের জন্য ব্যবসা টালমাটাল হবে বলে আমরা আশঙ্কা করেছিলাম। কিন্তু, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরের দিন আমাদের আশেপাশের দোকানগুলিতে ভালো বিক্রি হয়েছে। তবে গোটা জেলার পরিস্থিতির কথা বলা সম্ভব নয়।”

Digha Tour : হঠাৎ দিঘায় পর্যটকদের থিকথিকে ভিড়! কারণ জানালেন দোকানদার-ব্যবসায়ীরা
এর অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে দিঘা এবং লাগোয়া পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ভিড়। জেলার আবগারি দফতরের আয়ের অন্যতম বড় অংশ আসে পর্যটকদের থেকে, এমনটাই জেলা প্রশাসনিক মহল সূত্রে খবর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version