চলছে বর্ষাকাল, গোটা শ্রাবণ মাস ধরেই বৃষ্টির কমবেশি পূর্বাভাস রয়েছে। বর্ষার জেরে বেড়েছে বিভিন্ন নদীর জলস্তর। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলস্তর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একই ছবি ভাগিরথীতেও। আর ভাগিরথীর জলস্তর বাড়তেই নদী ভাঙনের আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে নদীয়ার শান্তিপুরের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের। নদী ভাঙন ঠেকাতে প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনও জানাচ্ছেন তাঁরা।

বর্ষায় ভাগিরথীর জলস্তর বৃদ্ধি নতুন কোনও ঘটনা নয়। আর তার ফলে শুরু হয় নদীর পাড় ভাঙন। যার জেরে কয়েকশো পরিবারকে ভিটেমাটি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয় অন্যত্র। কেউ আশ্রয় নেন সরকারি স্কুলে, তো কেউ আবার মাথা গোঁজেন ফাঁকা মাঠে তাঁবু খাটিয়ে। এবারেও বর্ষা শুরুর পর নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় নতুন করে আতঙ্কে শান্তিপুরের ভাগিরথী তীরবর্তী মানুষ।

Delhi Yamuna Flood : ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফুঁসছে যমুনা, বানের জলে ভেসে যাবে দিল্লি?
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, নদী ভাঙন রোধের কাজ শুরু হলেও তা এখনও পর্যন্ত তা সম্পন্ন হয়নি। বর্ষা শুরু হতেই বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই নদী ভাঙন রোধের কাজ যদি সঠিকভাবে না করা হয়, তাহলে এই বছর পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে। একদিকে যেমন জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ফুঁসছে ভাগিরথী, অন্যদিকে তেমনই ভাঙন শুরু হলে কোথায় আশ্রয় নেবেন সেই আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।

Haridwar Flood : গঙ্গা থেকে সাঁতরে সটান ঘরে ঢুকছে কুমির! আতঙ্ক হরিদ্বারে
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, শান্তিপুর অঞ্চলে ভাগিরথীর ভাঙনের নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ এক কারণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নদীর অপর পাড়ে রয়েছে একটি ইটভাটা, যার অনেকটাই ভাগীরথীর নদী বক্ষে চলে এসেছে। ইটভাটার চতুর্দিকে ইট ফেলে ক্রমশ বড় করা হচ্ছে জায়গা। ফলে ভাগিরথীর জলস্রোত উলটো দিকে আঘাত হানছে। যার জেরে ভাঙনের মুখে পড়তে হচ্ছে শান্তিপুর এলাকাকে।

Flood in Delhi : দিল্লিতে মহাপ্লাবন! বন্যায় ভাসছে কেজরিওয়ালের বাসভবন এলাকা
বিষয়টি ইতিমধ্যেই বিভিন্নমহলে জানিয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও কোনওরকম পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকী বিষয়টি জানানো হয়েছে স্থানীয় বিধায়ককে। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তব হয়নি। এই অবস্থায় এলাকাবাসীর আবেদন, যত দ্রুত সম্ভব নদী ভাঙন রোধে নেওয়া হোক উপযুক্ত ব্যবস্থা। না হলে আগামীদিনে ভাগিরথীর গ্রাসে চলে যাবে ভিটেমাটি। বাঁচানো যাবে না বিঘার পর বিঘা চাষের জমিও। সেক্ষেত্রে একপ্রকার পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে তাঁদের। এখন দেখার এলাকাবাসীর আবেদনে কত তাড়াতাড়ি সাড়া দেয় প্রশাসন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version