পরে আমার মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কারণ আমার মেয়ের বয়স তখনও ১৮ হয়নি’। তিনি আরও বলেন, ‘২ জনের মধ্যে বিয়েও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। প্রায় আড়াই লাখ টাকা পণ ধার্য হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ছেলের বাড়িতে শুরু হয় অশান্তি’। তাঁরা এই সম্পর্ক মানছিল না বলে অভিযোগ করেন তিনি। মেয়ের বাবা বলেন, ‘২ দিন ধরে জসিমুদ্দিন আমাদের বাড়িতেই ছিল’। বাড়িতে সম্পর্ক না মানায় মানসিক অশান্তির জেরেই ২ জনে আত্মঘাতী হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মেয়ের বাবা। অন্যদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছেলের পরিবার।
কেন এই ঘটনা ঘটল তার জন্য মেয়ের বাবার কাছে কৈফিয়ত চাইছেন তাঁরা। ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবিও জানানো হয়েছে। মৃত জসিমুদ্দিনের কাকা কোবাদ আলি পুরো দায় চাপিয়েছেন মেয়ের বাড়ির ওপর। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বাড়ি থেকে বলা হয়েছিল মেয়ে ১৮ বছর বয়স হলেই বিয়ে হবে।
কারণ আইন অনুযায়ী সব করতে চাইছিলাম। বিয়ে নিয়ে আপত্তি জানানো হয়নি। কিন্তু মেয়ের বাড়িতে বিয়ে দেওয়ার খুব তাড়া ছিল। তাঁরাই আমাদের ছেলে জসিমুদ্দিনের মাথায় ঢুকিয়েছিল এখন বিয়ে করার কথা। সেটা নিয়ে জসিমুদ্দিন বেঁকে বসেছিল।
আমরা অনেক বুঝিয়েও তাঁকে বোঝাতে পারিনি। শেষমেশ একদিন রেগে গিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেয়েটির বাড়িতে চলে যায়। তারপর আজ খবর এল যে তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে’। তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশকে বলব উপযুক্ত তদন্ত করে ওই পরিবারকে শাস্তি দিতে’।
খবর পেয়ে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট না এলে বোমা সম্ভব নয়। তারপরেই তদন্ত এগোবে।