এদিন আরামবাগ BJP-র বহু কর্মী এই পবিত্র তীর্থ যাত্রায় অংশ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য সারা ভারতবর্ষের মধ্যে অন্যতম শিব তীর্থক্ষেত্র হল হুগলির তারকেশ্বর ধাম। বহু প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী তারকেশ্বর মন্দিরে সারা শ্রাবণ মাস ব্যাপী ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে।
বিশেষ করে শৈববার সোমবার কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হয়। কেবল শ্রাবণ মাস নয়, সারা বছরই রাজ্যের পাশাপাশি ভিন্ন রাজ্য থেকেও বহু ভক্ত আসেন এখানে। তবে শ্রাবণ মাস পড়তেই ভক্তদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, শ্রাবণ মাস মানেই দেবাদিদেব মহাদেবের জন্মমাস।
এই পবিত্র মাসে সারা ভারতবর্ষের মানুষ বাবা তারকনাথের মন্দিরে জল ঢালতে আসেন। শেওড়াফুলি থেকে পবিত্র গঙ্গার জল বাঁকে করে নিয়ে পাঁয়ে হেঁটে নিয়ে এসে তারকনাথ বাবার মাথায় ঢালা হয়। প্রত্যেক দিন কয়েক হাজার মানুষ জল নিয়ে বাবার মন্দিরে আসেন মানত পুরণ করার জন্য।
দেবাদিদেব মহাদেবের আশীর্বাদে ভক্তদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়। সেই মতো পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ মানব কল্যানের জন্য এবং দুর্নীতি মুক্ত সরকার গড়ার লক্ষ্যে বাবা শিবের মাথায় জল ঢালার সংকল্প নেন। এমনটাই জানান BJP কর্মীরা। অপরদিকে এই বিষয়ে পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাবার আশীর্বাদে যাতে পশ্চিমবঙ্গে শুভ শক্তির উদয় হয় সেই জন্য শিবের ভক্তরা বের হয়েছেন। বৈদ্যবাটি নিমাই তীর্থের ঘাট থেকে গঙ্গার জল নিয়ে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার পথ হেঁটে তারকেশ্বর মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালব।’
পঞ্চায়েত ভোটে যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের আত্মার শান্তি কামনাতেও জল ঢালা হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বেলাগাম হিংসা দেখেছে রাজ্য। সেই হিংসা থেকে যাতে রাজ্যবাসী মুক্তি পান, ও একটু সুস্থ সরকার আমাদের রাজ্যে আসে, সেই প্রার্থনা করব মহাদেবের কাছে।’ সবমিলিয়ে এই রকম এক পবিত্র স্থানে রাজ্যবাসীর কল্যান কামনায় রওনা দেন বিমানবাবুরা।