কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তাঁর অভিযোগ, ‘সারা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের জন্য রাজ্যে ৩৫৫ জারি করার পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।’ এই মর্মে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে মামলা দায়ের করার অনুমতি চান আইনজীবী। এই মর্মেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আজ শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আইনজীবীর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কারণেই রাজ্যে আরও বেড়েছে হিংসা।
উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিশেষ রক্ষাকবচ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেই নির্দেশ অনুযায়ী আগামী দিনে আদালতের নির্দেশ ছাড়া বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও FIR দায়ের করা যাবে না। গতদিনেই অন্য একটি মামলার শুনানিতে এই মামলার প্রসঙ্গটি টেনে এনেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। তাঁরই বেঞ্চে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি চেয়ে মামলার শুনানি। তাদের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটের অশান্তিতে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ।
এর আগে পঞ্চায়েত ভোটের হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন সুমন সিং নামের এক আইনজীবী। FIR দায়ের করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ শোনা যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত FIR করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাহলে কি ১০ বছর বাদে সেই ব্যক্তি কোনও অপরাধ করলে তখনও মামলা করা যাবে না কেন? সম্প্রতি শুভেন্দুর এই রক্ষাকবচ নিয়ে বিচারপতির নাম না করে কিছু মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ছড়ায়।