জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই লজে মধুচক্র চলছিল বলে খবর আসছিল পুলিশের কাছে। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার অভিযান চালা কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার স্পেশাল ফোর্স। আর তাতেই ধরা পড়ে ৫ জন। উদ্ধার করা হয় ৮ মহিলাকেও। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া মহিলাদেরও।
এদিকে আজই তৃণমূলের শহিদ দিবস। তার আগে তৃণমূল নেতার লজে এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার রাজনৈতিকমহলে। শহিদ দিবসকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সমস্ত রকমের প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে তৃণমূল। বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকেরা। তার আগেই এই ঘটনায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, এই বছর তৃণমূলের শহিদ দিবসে মূল মঞ্চকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগের উচ্চতা থাকছে ১০ ফুট, দৈর্ঘ্য ৫২ ফুট ও প্রস্থ ২৮ ফুট। এই ভাগে থাকবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও আমন্ত্রিত ব্যক্তিরা। দ্বিতীয় ভাগের দৈর্ঘ্য করা হয়েছে ৪০ ফুট, প্রস্থ ২৮ ফুট ও উচ্চতা ১১ ফুট। এই ভাগে বসবেন দলের সাংসদ ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। আর তৃতীয় স্তরের উচ্চতা ১২ ফুট, দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট ও প্রস্থ ২৮ ফুট। এখানে বসবেন বিধায়ক এবং অন্যান্যরা। মূল মঞ্চের পাশে আরও একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যার উচ্চতা হল ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট ও প্রস্থ ২৮ ফুট। এখানে বসবেন কাউন্সিলর এবং আরও বেশকিছু বিশিষ্ট মানুষ। সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকছে এবারের শহিদ মঞ্চে। এছাড়া মঞ্চে ওঠার মোট ৩টি সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। একটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জন্য। আর বাকি দু’টি অন্যান্যদের জন্য। এছাড়া এই বছর পোডিয়ামের উচ্চতা করা হয়েছে ১২ ফুট, দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট ও প্রস্থ ৮ ফুট। নেতৃত্বের ভাষণ যাতে সভায় উপস্থিত প্রত্যেকে ঠিকমতো শুনতে পান, তার জন্য থাকছে ১,০০০ মাইকের ব্যবস্থা।