এসপ্ল্যানেড মেট্রোর সামনে একদল তৃণমূল কর্মীদের দেখা যায় যাদের হাতে ছিল ‘লক্ষ্য ২০২৪ DIDI-কে PM চাই’ লেখা পোস্টার। অর্থাৎ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে দেখতে চাইছেন তাঁরা, এমনটাই আশা তাঁদের। সেক্ষেত্রে কি মোদী বনাম মমতার ‘ভোট ফাইট’ দেখা যাবে? উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে ফের বৈঠকে বসেছিল ২৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। অনেকেই মনে করছিলেন রাহুল গান্ধীকে হয়তো প্রধানমন্ত্রী মুখ করতে পারেন বিরোধীরা। অন্তত হাত শিবিরের থেকে এই দাবি উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। যদিও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে স্পষ্ট করেছেন, প্রধানমন্ত্রী দৌড় থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখতে চাইছে কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভেসে আসছিল বিরোধীদের মুখ হিসেবে। সেই জল্পনা উসকে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।
তিনি বলেন, “প্রথম বাঙালি মহিলা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসুন দিদি তা আমরা চাই। এরপর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা পরের বিষয়। আমরা চাইছি দেশের প্রধানমন্ত্রী মুখ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে ‘মেগা জোট’-এর মুখ হতে পারেন মমতা।
বেঙ্গালুরুর বৈঠকের পর BJP-কে কার্যত খোলা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ক্যাচ আস ইফ ইউ ক্যান।” স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে আশা বাড়ছেই। একুশের সভায় আসা ভিড় থেকে তা স্পষ্ট।
যদিও কোনওভাবেই একুশের মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় আবেগে ভেসে কোনও দলীয় নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, এই মন্তব্য যাতে না করেন সেই বিষয়ে সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কোনওভাবেই বিরোধী মহাজোট নিয়ে আপোস করতে চাইছে না তৃণমূল।
এখনও পর্যন্ত জোটের তরফে কোনও মুখ তুলে ধরা হয়নি। সেক্ষেত্রে আলাদা করে যদি তৃণমূলের নেতাদের মুখ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার প্রসঙ্গ উঠে আসে সেক্ষেত্রে তা আদতে জোটের জন্যই খারাপ। এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কী বার্তা দিতে চলেছেন, সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।