জল্পেশ মন্দিরে জল ঢালতে পুণ্যার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন না। বাইরে থেকে চ্যালেনের মাধ্যমেই ঢালতে হবে জল। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় পুনর্বহাল থাকার পরেই চ্যানেলের ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া শুরু করল ময়নাগুড়ি ব্লক প্রশাসন। গত বছর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, শ্রাবণ মাসে নিরাপত্তা কথা চিন্তা করে জল্পেশ মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা। বাইরে থেকেই জল ঢালতে হবে। গত বছরের সেই রায়কেই পুর্নবহাল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ময়নাগুড়ির বিডিও।

তার জেরে এবার ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে পূণ্যার্থীদের বাইরে থেকে জল ঢালার পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ শুরু করল মন্দির কমিটি। মন্দিরের বাইরে কয়েকটি জায়গায় লাগানো হচ্ছে পাইপ। তার মাধ্যমে বাইরে থেকে পূণ্যার্থীরা জল ঢালবেন। সেই জল সোজা চলে যাবে মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকা শিবলিঙ্গে।

এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে অখুশি জল্পেশ মন্দর কমিটি। তারা ইতিমধ্যেই স্বেচ্ছাসেবকদের তুলে নিয়েছেন। জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরিন দেব বলেন, ‘টিকিট বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়েই স্বেচ্ছাসেবদের রাখা হয়। টিকিট বিক্রি না হলে স্বেচ্ছাসেবকদের রাখব কী করে?’

ময়নাগুড়ির বিডিও শুভ্র নন্দী বলেন, ‘হাইকোর্টের অর্ডারের নির্দেশের কপি জল্পেশ মন্দির কমিটি নিতে আসেনি। তাই মন্দির কমিটির অফিস ঘরের সামনে আমরা নির্দেশিকা টাঙিয়ে দিয়েছি। হাইকোর্টের নির্দেশ মত কাজ শুরু হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, জল্পেশ মন্দিরে শ্রাবণ মাসে লক্ষ লক্ষ পূণ্যার্থী গর্ভগৃহে শিবলিঙ্গে জল ঢালেন। মন্দিরে প্রবেশ পথ ছোট থাকায় অনেকে আঘাত পান বলে, হাইকোর্টে মামলা করা হয়। গত বছর সংকীর্ণ প্রবেশ পথ দিয়ে মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করার সময় চোট লেগে অসুস্থ হন রাজকুমার দাস নামে এক পুণ্যার্থী ৷ তারপরেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে একটি মামলা করেন। শুনানি শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দেন, মন্দিরের গর্ভগৃহে আর কোনও পূণ্যার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বাইরে থেকে চ্যানেলের মাধ্যমে জল ঢালতে হবে। কোন টিকিট পুর্নার্থীদের কাছ থেকে কাটা যাবে না। এরপর এই বছর আবার নতুন করে মামলা হয়। তার প্রেক্ষিতে গত বছরের এই রায়কেই ফের পুনর্বহাল করল হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, যেহেতু শ্রাবণ মাস চলছে, তাই রাজ্যের বিভিন্ন শৈবক্ষেত্রে ভিড় লেগেই রয়েছে ভক্তদের। একই চিত্র জলপাইগুড়ির জল্পেশ মন্দিরেও। তবে এবারেও সেখানে মানতে হবে গতবারের নিয়ম।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version