প্রদ্যুত দাস: মালদহের বামনগোলায় দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। তার মধ্যেই এবার জলপাইগুড়িতে তিস্তার চর থেকে উদ্ধার হল এক আদিবাসী মহিলার মৃতদেহ। জানা যাচ্ছে গত ১১ জুলাই ভোট গণনার দিন সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই মহিলা। মৃত মহিলার নাম রোশনি ওরাওঁ।

আরও পড়ুন-মিটবে যাত্রী ভোগান্তি! এবার অ্যাপ-এ মিলবে শহরের হলুদ ট্যাক্সি  

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাতাকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা ছিলেন রোশনি। ভোট গণনার দিন সন্ধে থেকে তার কোনও খোঁজ মিলছিল না। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় থানায় একটি নিখোজ ডাইরি করেন। টানা ১১ দিন পর রবিবারর সেই রোশনির পচাগলা মৃতদেহ মিলল ঠেঙ্গিপাড়ায় তিস্তার চরে। আমিরুল মহম্মদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এখানে এই ঠেঙ্গিপাড়ায় তিস্তার চরে এক মহিলার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। পুলিস এসে দেহ তুলে নিয়ে গিয়েছে। দেহটি নগ্ন অবস্থায় ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিসে খবর দেন। পুলিস এসে মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মর্গে। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ রোশনির পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান প্রধান হেমব্রম বলেন, সন্দেহ হচ্ছে ওই মহিলাকে খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ওর স্বামী আগেই মারা গিয়েছে। বাড়িতে দুটি সন্তান রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস।

রায়পুর চা বাগানের বাসিন্দা বিজয় বাড়াইক  বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের পরে গণনার দিন রাত থেকে ওই মহিলাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। দুদিন খোঁজাখুজির পরও তানায় এফআইআর করলাম। তার পরেও খোঁজ চলছিল। গতকাল শুনতে পেলাম তিস্তার চরে এক মহিলার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। সকালে গিয়ে আমরা মৃতদেহ সনাক্ত করলাম। মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল না। তা ফুলে পচে গিয়েছিল। পরনের নাইটি, হাতের চুড়ি ও হেয়ার ব্যান্ড দেখে ওকে চিনতে পারা যায়। নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না তবে মনে হচ্ছে কেউ ওকে মেরেই ফেলেছে। পোস্টমর্টেম হয়ে গিয়েছে। দেহ হয়তো পেয়ে যাব। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট পাওায় গেলে বোঝা যাবে মৃত্য়ু কারণ।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version