পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অশোকনগর সেনডাঙার বাসিন্দা বিজেপি নেতা বাসুদেব চক্রবর্তী ও বিক্রম ঠাকুর এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন। দুজনে একটি পালসার বাইকে করে প্রায় ৪০ রাউন্ড গুলি নিয়ে গোবরডাঙ্গা থানার প্রতাপনগর এলাকায় আসে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মসলন্দপুর ফাঁড়ির অফিসার রাখে হরি ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ ওই দুজনকে আটক করে।
অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ৪০ রাউন্ড গুলি। ধৃতদের রবিবার বারাসাত আদালতে পাঠানো হয়। যদিও বিজেপি নেতার দাবি, ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। সেনডাঙ্গা এলাকায় বেশ খারাপ ফল হয়েছে তৃণমূলের। সেই কারণেই প্রতিশোধ নিতে পুলিশকে দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে এমনটাই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব জানায়।
এত পরিমাণ গুলি একসঙ্গে কোথায় বিক্রি করা হতো না কার কাছে পাচার করা হতো, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্যের কীভাবে ৩৫৫ ধারা জারি করা যায় সে বিষয়ে একটি মন্তব্য শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুরু থেকেই রাজ্যে অশান্তি পাকিয়ে আসছে বিজেপি। তারই প্রমান এই ঘটনা।
অন্যান্য জেলার ন্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। একাধিক রাজনৈতিক কর্মীর প্রাণহানি হয়। গুলি, বোমা উদ্ধারের ঘটনা লেগেই রয়েছে বিগত কয়েক মাস ধরে। তার মধ্যে স্থানীয় বিজেপি নেতার কাছ থেকে এই গুলি উদ্ধারের ঘটনা জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে অস্বস্তির মধ্যেই পড়ল বলে ধারণা অনেকেরই।