২০২৩ সালের দুর্গাপুজোয় লম্বা ছুটি রয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের পোয়াবারো। চতুর্থী থেকে একেবারে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত টানা ছুটি উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা। ফলে অনায়াসেই রুকস্যাক প্যাক করে দিল্লি-হিল্লি-কাশ্মীর কিংবা কুলু-মানালির পথে বেরিয়ে পড়তে কোনও বাধা নেই। সেইসঙ্গে কালীপুজোয় পরপর ছুটি পাওয়া যাবে। ইদেও দু’দিন ছুটি রয়েছে রাজ্যে।
কবে থেকে শুরু হচ্ছে পুজোর ছুটি?
গত বছরের তুলনায় এ বার পুজো বেশি খানিকটা দেরিতে। পুজো শুরু হতে হতে প্রায় অক্টোবরের শেষ। ২০২৩ সালের নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, ১৪ অক্টোবর মহালয়া পড়েছে এ বছর। এরপর ১৮ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর অর্থাৎ দুর্গাপুজোর চতুর্থী থেকে লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত টানা ছুটি থাকবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। ১৮ অক্টোবর, বুধবার চতুর্থী, ১৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার পঞ্চমী, ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠীতে অতিরিক্ত ছুটি দিচ্ছে নবান্ন। ২১ অক্টোবর সপ্তমী থেকে ২৪ অক্টোবর দশমী পর্যন্ত পাবলিক হলিডে। ফের ২৫ অক্টোবর একাদশী অর্থাৎ বুধবার থেকে ২৭ অক্টোবর শুক্রবার পর্যন্ত বাড়তি ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তারপরই রয়েছে ২৮ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজোর ছুটি।
টানা পুজোর ছুটির পর ফের ১২ নভেম্বর, রবিবার রয়েছে কালীপুজোর ছুটি। ১৩ এবং ১৪ নভেম্বর কালীপুজোর জন্যই অতিরিক্ত ছুটি দিয়েছে নবান্ন। পাশাপাশি ১৫ নভেম্বর রয়েছে ভাইফোঁটা এবং বিরসা মুন্ডার জন্মদিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি। ১৬ নভেম্বরও ভাইফোঁটার পরদিন ছুটি রয়েছে রাজ্যে। ছটপুজো উপলক্ষে ছুটি রয়েছে ১৯ এবং ২০ নভেম্বর।
চলতি বছর ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়ায় আগমন হচ্ছে মা দুর্গার। পঞ্জিকা অনুযায়ী, ঘোটকে আগমন হলে তা আদতে ‘ছত্রভঙ্গ’ হওয়ার ইঙ্গিত। আর তাই উৎসবপ্রিয় বাঙালির আশঙ্কা, তবে কি এবার বৃষ্টি ভাসাবে দুর্গাপুজোর দিনগুলো? তার আগেই যাবতীয় প্ল্যান সেরে ফেলতে চাইছে বাঙালি। তাই সরকারি ছুটির তালিকা খুঁটিয়ে দেখে তবেই ট্যুর প্ল্যান শুরু হয়েছে।