সংঘাতের আবহে কেন হঠাৎ রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্ন যখন রাজ্যের রাজনৈতিক অলিন্দে ঘুরপাক খাচ্ছে তখন এই নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘সৌজন্যতার জন্যই আমি এখানে এসেছিলাম। বিধানসভার অধিবেশন চলছে। বিধানসভায় পাশ হওয়ার মতো কোনও বিল হাতে নেই। বিল খুঁজে পাচ্ছি না। সব আগে পাশ হয়ে গিয়েছে তবু বছরে কিছুদিন বিধানসভার অধিবেশন করতেই হয়। রাজ্যপালকে বলে গেলাম, দুটো বিল আসতে পারে অর্থ সংক্রান্ত। উনি অনুমোদন দিলে বিধানসভায় সেটা আলোচনা করা যেতে পারে। ফিন্যান্সের কী বিল বলছি না এখনই। সব কিছু বলতে হয়? বিধানসভার গোপনীয়তাও বজায় রাখতে হয়।’
এরপরই অপেক্ষারত সাংবাদিকদের উদ্দেশে খানিক মজার ছলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত বিধানসভা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য আমি এখানে এসেছিলাম। চা খেয়েছি। দুধ চা খেয়েছি, বিস্কুট খাইনি। তোমরা আর কিছু শুনতে চাও?’ মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসানো সংক্রান্ত বিল পাশ হয়ে গেলেও দীর্ঘদিন ধরে তা রাজভবনে পড়ে। রাজ্যপাল এখনও তাতে সই করেননি। সেই বিল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, ‘না, এই বিল নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। রাজ্যপালের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করার বিষয় নিয়েও আলোচনা করিনি। যেদিন আলোচনা করব, তোমাদের বলব।’
২৬টি বিরোধী দলের ইন্ডিয়া জোটকে সংসদে তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্রিটিশ শাসন ও জঙ্গি সংগঠনের নাম উল্লেখ করে ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করেছেন মোদী। সেই নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। মনে হচ্ছে ইন্ডিয়া নামটা ওঁর পছন্দ হয়েছে, উনি গ্রহণ করেছেন। ওঁকে কিছু বলতে হবে তাই বলেছেন। ইন্ডিয়া দল যখন খেলেতে নামে তখন কি কেউ জঙ্গিদের কথা বলে? আমাদের যখন কেউ দেশের নাম জিজ্ঞেস করে, তখন আমরা বলি ইন্ডিয়া। যত এই ধরনের কথা বলবে, তত মনে হবে নামটা ভালো লেগেছে। ‘