অয়ন ঘোষাল ও বিক্রম দাস: নিয়োগ দুর্নীতির পর পোস্টিং দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে নাম জড়িয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। আদালতের ধাক্কায় সেই মামলায় গতকাল প্রায় যুদ্ধকালীন তত্পরতায় জেরার পর আজ ফের তাঁকে জেরা করছে সিবিআই। প্রসিডেন্সি জেলে আজ তাঁকে জেরা করবে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এমনটাই ইঙ্গিত সিবিআই সূত্রে। গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি বিষয় হল পোস্টিং দুর্নীতিতে টাকার লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করবে ইডি।
আরও পড়ুন-অঞ্জু এখন ফাতিমা, পাকিস্তানে গিয়ে ফেসবুক প্রেমিককেই বিয়ে করলেন রাজস্থানের গৃহবধূ
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষকদের পোস্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০২০ সালে দুর্নীতি অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের মতো জেলায়। ওই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, এটা হল নিউ ডিজাইনড স্ক্যাম। অভিযোগ ওঠে, কাউন্সেলিংয়ের সময়ে চাকরিপ্রার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হয় কোন জেলায় তিনি পোস্টিং নিতে চান? অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীই নিজের জেলায় পোস্টিং চান। তখন তাদের বলা হয়, ওই জেলায় পদ খালি নেই। অন্য় জেলায় রয়েছে। কিছুদিন পরেই দেখা যায় ওইসব জেলায় পদ খালি হয়েছে। নিয়োগও হয়ে য়ায়। সেখানেই সন্দেহ। মনে করা হচ্ছে পরিকল্পনা করেই এমনটা করা হয়েছে। নিজের জেলায় পোস্টিং দেওয়ার জন্য টাকার লেনদেনও হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতের পর আজ সকাল নটা নাগাদ সিবিআইএর ৩ অফিসার ও একজন ভিডিয়োগ্রাফার এসে ঢোকেন প্রেসিডেন্সি জেলে। গতকাল রাত নটা কুড়ি মিনিট থেকে রাত এগারোটা তিপান্ন মিনিট পর্যন্ত জেরা করা হয়। তারপর আজ ফের তাঁকে জেরা করতে এলেন সিবিআইএর ৪ সদস্যের একটি দল। জেল সুপারের পাশের ঘরেই জেরা করা হচ্ছে মানিককে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বটি ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে।
এদিকে, পোস্টিং দুর্নীতি নিয়ে পৃথকভাবে একটি এফআইআর করেছে সিবিআই। এর অর্থ, এবার প্রয়োজনে সেই এফ আই আরের ভিত্তিতে আদালতে আবেদন করে ফের মানিক ভট্টাচার্যকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তারা জেরা করতে চাইতে পারে।
প্রসঙ্গত, দুটি কেন্দ্রীয় সংস্থা যখন একই বিষয়ে একই ব্য়ক্তিকে যখন জেরা করে তখন একটি সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে অন্য সংস্থা জেরা শুরু করে। এখনওপর্যন্ত এটা স্পষ্ট নয় সিবিআইএয় হাতে এক্ষেত্রে কী ধরনের নথি রয়েছে। তদবির করে নিজের জেলায় পোস্টিং পেয়েছেন এমন কতজনের নাম তাদের হাতে রয়েছে, কে বেনিফিসিয়ারি, কত টাকার লেনদেন হয়েছে তা জানতে সিবিআই তাদের মতো করে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। তার পরেই আন্দাজ করা যাবে ঠিক কত টাকাল লেনদেন হয়েছে এই পোস্টিং দুর্নীতিতে। তারপরই এবিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করবে ইডি। কার কাছ থেকে কত টাকা কোথায় গিয়েছে তা খুঁজে বের করবে কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্ত সংস্থা।