আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তারই মাঝে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক চালুর নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যভবন। আর স্বাস্থ্যভবনের এই নির্দেশকে ঘিরে খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে উদ্বেগ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছে জরে আক্রান্ত হওয়ার খবর। জেলা থেকে কলকাতা, সর্বত্রই জরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে রোগীদের। সেই সংখ্যাটা ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী।

জানা গিয়েছে, আজ এক ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। প্রত্যেক হাসপাতালে চালু করতে বলা হয়েছে ফিভার ক্লিনিক। ল্যাবরেটরিগুলিকে চালু রাখতে বলা হয়েছে। কমপক্ষে ২ সপ্তাহের টেস্ট কিট মজুদ রাখতে হবে হাসপাতালগুলিতে। এছাড়াও প্রতিদিন রিভিউ বৈঠক করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়ার জন্য একদিন আধিকারিককে দায়িত্ব দিতে হবে। অন্যদিকে এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন ২ দিন জ্বর থাকলেই করতে হবে ডেঙ্গি টেস্ট। একইসঙ্গে জমা জল পরিষ্কারের ওপরেও বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে পুরসভা। কোথাও জমা জল থাকলেই ধরান হচ্ছে নোটিশ।

Dengue Fever : বারাসতের পর কলকাতা, রাজ্যে ফের ডেঙ্গির বলি ১ নাবালিকা
পরিসংখ্যান বলছে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও হাওড়ায় ইতিমধ্যেই ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি পরিস্থিতি। এর আগে ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ভয় ধরিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরের। প্রতিবছরই ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় জেলার মধ্যে হাবড়া হাসপাতালের স্থান ওপরের দিকেই থাকে। বর্ষার শুরু থেকেই এবার ডেঙ্গি প্রতিরোধে তাই তৎপর হাবড়া পুরসভা-সহ জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তবে এখনও বহু জায়গায় জমা জলের ছবি উঠে এসেছে। আর তাতেই অতীতের আতঙ্ক উষ্কে দিয়েছে এলাকাবাসীরা মনে।

Dengue Death In Kolkata : বাড়ছে উদ্বেগ, ফের রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যু ২ জনের! আক্রান্ত বাড়ছে দুই ২৪ পরগনায়
দিন দুয়েক আগে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে শহর কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছে এক ১০ বছরে ছাত্রীর। ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। জ্বর, বমি, গায়ে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সূত্রের খবর, ডেথ সার্টিফিকেটে সিভিয়ার ডেঙ্গি, মাল্টি অর্গান ফেলিওয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। নাবালিকার প্লেটলেট ৯ হাজারে নেমে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তাকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। কিন্তু চিকিৎসকদের অনেক প্রচেষ্টার পরেও তাকে বাঁচানো যায়নি। কয়েকদিন আগে একইভাবে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছিল প্লেটলেট নেমে গিয়ে। চলতি সপ্তাহে ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গি এভাবে শহরে ও জেলায় পরপর থাবা বসাতেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version