মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভুয়ো বিদেশী কোম্পানির ব্যবসায় টাকা লগ্নি করে সর্বস্বান্ত হলেন পূর্বস্থলীর হাজার হাজার বাসিন্দা। শুধু পূর্বস্থলীই নয়, প্রতারকদের ফাঁদে পরে পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ দক্ষিণবঙ্গের আরও মানুষ টাকা হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। লগ্নির টাকা জমা দিতে হচ্ছিল টি অ্যান্ড জি গ্রুপে। দু-একবার মুনাফার টাকাও দেওয়া হয়েছে ওই অ্যাপ থেকে। তা দেখে সাধারণ মানুষ আরও উৎসাহিত হয়ে টাকা রাখা শুরু করেন।

কিন্তু সপ্তাহ খানেক ধরে সব ভোকাট্টা! টি অ্যান্ড জি-র অ্যাপস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন পূর্বস্থলী ২ ব্লকের অধিকাংশ বাসিন্দা।
মোবাইল সুইচ অফ করে দিয়েছে মূল পাণ্ডা। আর তারপর থেকে বুক চাপড়াতে শুরু করেছেন প্রতারিতরা।
Acid Attack on Woman : রাতের অন্ধকারে গৃহবধূর উপর অ্যাসিড ছুঁড়ে পালাল দুষ্কৃতীরা, আতঙ্ক বর্ধমানে
অনেক বাড়িতে কান্নার রোল শুরু হয়েছে। ওই লগ্নিকারী সংস্থার মূল পাণ্ডা সন্দীপ সেন পূর্বস্থলীর তামাঘাটার বাড়িতে তালা মেরে উধাও হয়ে গিয়েছে। তার নিয়োজিত ২০ জন এজেন্টও বিপাকে পড়েছেন। ওই এজেন্টদের মোবাইল নম্বর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেওয়া আছে।

তাঁদের অনেকেই এখন আতঙ্কে আছেন। এক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই সংস্থা দেড়শো কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে। পেটিএম, ফোন পে, গুগল পে থেকে টি অ্যান্ড জি অ্যাপে টাকা জমা নেওয়া হচ্ছিল। এখন সেই অ্যাপ কাজ করছে না। সপ্তাহ দুয়েক আগে নবদ্বীপ শহরের একটি অনুষ্ঠান হলে লগ্নিকারীদের নিয়ে একটি একটি সভা হয়। সেখানে ওই সংস্থার পাণ্ডা সন্দীপ সেন সকলকে আশ্বাস দিয়ে বলেছিল – এই সংস্থা আপনাদের লগ্নি করা টাকা ফেরত না দিলে, আমি সেই টাকা ফেরত দেব।’

Recruitment Scam : নিয়োগে কি অনিয়ম, প্রশ্নের মুখে কাটোয়ার হেড মিস্ট্রেস
বারবার টেবিল চাপড়ে সেই কথা বলেছে বলে অভিযোগ। জনমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ওই সংস্থার প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়ে গিয়েছিল। এরপর আঠারো থেকে সত্তর বছর বয়স্কদের মধ্যে এই অ্যাপে টাকা লগ্নি করার প্রবণতা বেড়ে যায়। এক একজন দশ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত লগ্নি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

Online Fraud : অনলাইন বেটিংয়ের নেশায় সর্বস্বান্ত! যা জিতলেন খোয়ালেন তার ১০ গুণ
সন্দীপ সেনের বাড়ি পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মাজিদা পঞ্চায়েতে তামাঘাটা গ্রামে। এদিন সেখানে হানা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু কাউকেই পাওয়া যায়নি। লগ্নি করা টাকা আর ফেরত পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। এই বিষয়ে পুলিশে জানানো হয়েছে বলে জানান এক গ্রামবাসী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version