কাঁথির অপহৃত শিশুকে ওড়িশা থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে। ধৃত যুবকের নাম সঞ্জীব শিট। কী ভাবে চলল গোটা অপারেশন, তা সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন কাঁথির এসডিপিও মানব সিঙ্গল। ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি পরিবার।

অভিযোগ, গত ১২ জুলাই ওই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এই প্রসঙ্গে পুলিশ জানাচ্ছে, ঘটনার ১০-১২দিন আগে সঞ্জীব শিট নামে ওই যুবক শিশুটির বাবার সঙ্গে পরিচয় করে। শিশুটির বাবার দোকানেই পরিচয় হয়। মাঝে মধ্যেই শিশুটিকে খাবার খাওয়াতে নিয়ে যেত। এরপর ১২ তারিখও বাড়িতে অনুষ্ঠান রয়েছে বলে শিশুটিকে খাওয়াতে নিয়ে যায় সে। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না শিশুটির। উধাও হয়ে যায় ওই যুবকও।

এদিকে ১২ তারিখেই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ১৭ তারিখ মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয় শিশুর বাড়িতে। ৭০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এরপর ১৮ তারিখ ফের ফোন আসে। বলা হয় ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। বলা হয় কাঁথির পিছাবনীতে লালরঙের একটি গাড়ি যাবে, সেই গাড়িতে ৫০ লাখ টাকা তুলে দিতে হবে। ইতিমধ্যেই পরিবারের সদস্যরা সেই মোবাইল নাম্বারটি কাঁথি থানায় জানায়। পুলিশও ফোনের লোকেশান ট্র্যাক করা শুরু করে। জানা যায় ওড়িশা থেকে করা হচ্ছিল ফোনটি। এরপর রাজ্য পুলিশ ওড়িশা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেখানে যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের দল। তারপর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ওই শিশুকে। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।

North 24 Parganas News : নেশার টাকার জন্য ২ লাখে সন্তানকে ‘বিক্রি’ বাবা-মায়ের! পানিহাটিতে গ্রেফতার দম্পতি
এদিকে এই ঘটনায় অপহরণকারী সম্পর্কে শিশুর বাবা সংগ্রাম শিট জানান, ‘দোকানে আসত, বন্ধুর মতো হয়ে গিয়েছিল, ছেলেকেও দোকানে নিয়ে আসতাম। ছেলের সঙ্গে ওর ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়। ঘটনারি দিন, ও এসে বলল খেতে যাবে। সেই শুনে আমার ছেলেও বলল যাব। আমি বারণ করলাম। তারপর সেই যে খেতে নিয়ে গেল, আর এল না। তারপর থেকে অনেকক্ষণ ফোন করার চেষ্টা করছি, আর পাচ্ছি না। দুপুর বেলা একবার ফোনে পেলাম, বলল তুমি থাক, আমি ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছি। তারপর থেকে আর কোনও যোগাযোগ নেই।’ শিশুটির বাবা আরও জানাচ্ছেন, ‘আমরা ওইদিনই পুলিশকে জানাই। ১৭ তারিখ ফোন করে ৭০ লাখ টাকা চায়। সেটাও আমরা পুলিশকে জানাই। পুলিশ অনেক উপকার করেছে। মৃত্যু পর্যন্ত ভুলব না। আমার ছেলেকে খুবই মেরেছে। ডাক্তার দেখিয়েছি, এখন ভাল আছে।’

Jhargram News Today : মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত বাবা, ৩৫ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের
জানা যাচ্ছে, সংগ্রামবাবুর দুই ছেলে। বড় ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছিল। এমনকী ছোট ছেলে ও তাঁকেও তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে এই ধরনের ঘটনায় মা-বাবাদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version