দিঘার মোহনায় অত্যাধুনিক মৎস্য নিলাম কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। মৎস্য দফতরের অর্থানুকূল্যে এই কাজের কারিগরি তত্ত্বাবধান করছে ‘বেনফিস’। অন্যদিকে, মৎস্য দফতর ও বেনফিসের উদ্যোগে কাঁথির শৌলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নতুন জেটি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে একটি বড়সড় বরফ কলও তৈরি হয়েছে বলে খবর। জুনপুটে বেনফিশ পরিচালিত শুঁটকি প্রসেসিং কেন্দ্রকে আরও উন্নততর করা হয়েছে। দিঘায় মৎস্য নিলাম কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হচ্ছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৬ কোটি টাকার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে।

Hilsa Fishing : কাকদ্বীপের কাছে ইলিশ বোঝাই ট্রলার ডুবল গভীর সমুদ্রে, উদ্ধার ১৭ মৎসজীবী
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক মাছের নিলাম কেন্দ্র রয়েছে দিঘা মোহনায়। এখান থেকে রাজ্যের নানা প্রান্ত তো বটেই, বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক মাছ রফতানি হয়। এখানে মাছ ধরার মরশুমে কোটি কোটি টাকার মাছ নিলাম হয়। বিদেশে মাছ রফতানির মাধ্যমে আসে বৈদেশিক মুদ্রাও।
কিন্তু নিলাম কেন্দ্রটি মান্ধাতার আমলের। আড়তগুলি অস্থায়ী ছাউনিতে গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। সেখানে পরিকাঠামোর নানা অভাব রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন মাছ ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। আড়তগুলিতে খোলা জায়গায় মাছ নিলাম হয়।

Fish Farming : ২৮ টাকা পুঁজি দিয়ে শুরু, মাছের ব্যবসা করে ‘বড়লোক’! চর্চায় নন্দীগ্রামের জয়দেব
তাই বর্তমান নিলাম কেন্দ্র থেকে কিছুটা এগিয়ে সমুদ্রের গা ঘেঁষে মাছের নতুন নিলাম কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। দিঘার মৎস্যজীবী এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরেই উন্নত সুবিধাযুক্ত নিলাম কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেই কথা মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৮ সালে দিঘা সফরে এসে একটি আন্তর্জাতিক মানের মৎস্য নিলাম কেন্দ্রের শিলান্যাস করে যান।

তাঁদের দাবি মেনেই কাজ শুরু হয়েছে, আর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। নিলাম কেন্দ্রে মোট ২০০টি স্টল গড়ে তোলা হচ্ছে। তার মধ্যে নিলাম হওয়া মাছ সংরক্ষণের জন্য ১৮০টি স্টল থাকবে। বাকি ২০টি স্টল প্যাকেজিংয়ের জন্য থাকবে।

Hilsa Fish : নামখানায় ট্রলার ভর্তি ইলিশ ফেলে পালালেন মৎস্যজীবীরা, ঘটনাস্থলে পৌঁছল পুলিশ! ব্যাপারটা কী?
নিলাম এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য আলাদা দুটি প্ল্যাটফর্ম বা চাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে। মাছ নিলামের পুরো প্রক্রিয়া ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার না করে সবটাই হবে E পদ্ধতিতে। মাছ নিলাম কেন্দ্রে জলের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা থাকে। তাই একটি জলাধার গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও হিমঘর সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।

দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘নিলামকেন্দ্রটি গড়ে উঠলে মৎস্যজীবী, আড়তদার ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে। খুব দ্রুত কাজ চলছে। আশা করা যায় কয়েকমাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে সমস্ত কাজ’।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version