সদ্য পদ খুঁইয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়ছে। দিলীপের অপসারণ নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি, তখন এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ২০১৪ সালে বিজেপির টিকিটে আসনসোল থেকে জিতে মোদী মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছিলেন বাবুল। বিজেপিতে থাাকাকালীন দিলীপ-বাবুল ‘শীতল’ সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। দলীয় পদ থেকে দিলীপের অপসারণের পরই এই নিয়ে মুখ খুলেছেন বালিগঞ্জের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক।

Dilip Ghosh News : পদ্মে পদ খোয়ালেন দিলীপ ঘোষ, BJP-তে বড় রদবদল
টুইটে দিলীপকে তীব্র কটাক্ষ করে বাবুল লেখেন, ‘অবশেষে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হল। অবশেষে নিজের ওষুধের স্বাদ তিনি পেলেন। বছরের পর বছর দলের সেবা করে শেষমেশ জুটল ঝুনঝুনি! সম্ভবত এখন উনি বুঝতে পারবেন কেন আমি সাংসদ পদ ওদের মুখের উপর ছুড়ে ফেলে বেরিয়ে এসেছিলাম। যদিও এটা অন্য প্রসঙ্গ যে আসানসোল থেকে আমার হার নিশ্চিত করতে উনি সব ধরনের চেষ্টা করেছিলেন।’
আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। বালিগঞ্জ থেকে উপনির্বাচনে জিতে তিনি এখন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী। এদিনের টুইটে দিলীপের পাশাপাশি বিজেপিকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন বাবুল। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটিতে দ্বিতীয়বারের জন্য স্থান পাওয়া অনুপম হাজরাকে নিয়ে মন্ত্রীর গলায় ছিল তাচ্ছিল্যের সুর। বাবুল লিখেছেন, ‘বিজেপি আসলে বাঙালি বিদ্বেষী। এই গদ্দার পার্টির কাছে বাঙালির কোনও গুরুত্ব নেই। বিজেপিতে বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে একজন জোকারই অবশিষ্ট রয়ে গেলেন।’

Dilip Ghosh : ‘BJP-তে ছিলেন-আছেন-থাকবেন’! দিলীপের পদচ্যুতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া শমীকের, পালটা মুখ খুলল তৃণমূল-সিপিএম
উল্লেখ্য, পদ থেকে দিলীপকে সরানোর পর থেকে বঙ্গ বিজেপি জুড়ে নানা ধরনের জল্পনা ছড়িয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে যেখানে ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি, সেখানে ঠিক কী কারণে দিলীপকে সরিয়ে দেওয়া হল সেই নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।

JP Nadda : তলব শুভেন্দু-সুকান্তকে, বৈঠকে সঙ্ঘও
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, দিলীপ বঙ্গ বিজেপির অন্যতম সফল সভাপতি। তাঁর সভাপতিত্বে ২ থেকে বঙ্গে বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়ে ১৮ হয়েছে। দলীয় পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অথবা রাজ্য সংগঠনে ফিরিয়ে আনা হতে পারে দাবি পর্যবেক্ষকদের একাংশের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অন্য একটি অংশের দাবি, সুকান্ত-শুভেন্দুদের দাপটে রাজ্য বিজেপিতে কোণঠাসা দিলীপ। দলীয় পদ থেকে অপসারণের পর দলীয় সংগঠনে তাঁর গুরুত্ব আরও কমতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version