রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, তিনিই এখনও পর্যন্ত বাংলার ‘সবথেকে সফল’ রাজ্য BJP সভাপতি। তাঁর মন্তব্যে একাধিকবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু, দিলীপ জামানায় বাংলায় যে ধারে ভারে বেড়েছিল BJP তা অস্বীকার করার জো নেই। কিন্তু, এবার সেই দিলীপ ঘোষকেই সমস্ত দলীয় পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় BJP নেতৃত্ব।

দিল্লিতে বড় রদবদল। BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদ থেকে সরানো হল দিলীপ ঘোষকে। আপাতত তিনি শুধুই BJP সাংসদ। রাষ্ট্রীয় সচিব পদে বহাল থাকছেন অনুপম হাজরা।

২৩-এর লোকসভা নির্বাচনে ১৯-এর রেকর্ড ভাঙার পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির। ১৮ নয়, নজর এবার আরও বেশি আসন। আর সেই জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেরও এই মুহূর্তে পাখির চোখ বাংলা। উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই বাংলায় BJP বহরে বেড়েছিল। ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে যখন ১৮টি আসন পায় গেরুয়া শিবির সেই সময় বাংলার সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এর আগে বাংলা থেকে এত বিপুল সংখ্যক আসনে জয় অতীতে ঘরে তুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ২০২১ সাল থেকে BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেক্ষেত্রে তাঁকে পদ থেকে সরানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের কেন্দ্রে ‘ফোকাস’ করুন দিলীপ ঘোষ, এমনটাই চাইছে দলীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি তাঁকে বাংলার ক্ষেত্রে আরও বড় কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তাই এই পদের হেরফের। যদিও অপর একটি অংশের ব্যাখ্যা, আপাতত অনেকটাই ‘কোণঠাসা’ দিলীপ ঘোষ।

BJP-র আদি এবং নব্য-র নিয়ে আলোচনা নতুন নয়। এর আগে বাবুল বনাম দিলীপ তরজাও ঠিক চোখে দেখেননি কেন্দ্রীয় BJP নেতৃত্বের একাংশ।এরপর তাঁর একাধিক মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সেই সময় দাঁড়িয়ে এই নেতাকে একাধিকবার দলীয় নেতৃত্বের তরফে সতর্ক করা হয়েছিল। যদিও স্বমহিমায় বরাবর দেখা গিয়েছে তাঁকে।

এদিকে তাঁর একাধিক মন্তব্য নিয়েও সম্প্রতি সময় চর্চা ছিল। সেই দিক থেকে তাঁকে সর্বভারতীয় সহ সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এখনও পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও BJP-র এই রদবদলে সরগরম বঙ্গ রাজনৈতিক মহল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version