কার্যত জোর করে এই পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের ১৮ই দখল করে তৃণমূল, এমনই দাবি বামেদের ৷ মানুষের রায়কে সম্মান না জানিয়ে জোর করে এই পঞ্চায়েত দখলের ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিল বামেরা ৷ বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই বিষয়ে বলেন, ‘যারা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁরা আগামী পাঁচ বছর যে যার নিজের এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন ৷ এলাকার মানুষের কোনও সমস্যা হলে তাঁরা তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন ৷ এমনকি প্রার্থীরা তাঁদের নামে একটি প্যাডও তৈরি করবেন’ ৷
স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের সঙ্গে আছেন বলে জানান সুজন চক্রবর্তী ৷ তিনি আরও বলেন, ‘মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন ৷ মানুষের ভোট আমরাই পেয়েছিলাম’ ৷ নিজেদের হার বাঁচাতে তাঁদের মারধর করে গণনার দিন ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন এই পঞ্চায়েতের বাম প্রার্থী সুব্রত বসু৷ তিনি বলেন, ‘জিতছিলাম আমরাই। কিন্তু তৃণমূলের গুণ্ডারা এসে আমাদের মেরে বাইরে বের করে দেয়, নিয়ে নিজেদের মতো করে গণনা করায়’। মানুষের পঞ্চায়েত তৈরির এই বিষয়টিকে অবশ্য কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা গৌতম দাস৷
তিনি বলেন, ‘মানুষের ভোট না পেয়েই হেরে গিয়ে এইসব হাস্যকর ও ভিত্তিহীন কাজ করছেন বামেরা’৷ সামনে লোকসভা ভোট নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতেই এইসব নাটক বলে কটাক্ষ গৌতম দাসের। তিনি বলেন, ’১৬ টা আসনে এগিয়ে থেকেও ১৮ টা আসনে হার, এটা একটা বাচ্চাকে বললেও সে বিশ্বাস করবে না।
মানুষ বোকা নয় এটা বামেদের বোঝা উচিৎ। আগের বার লোকসভা ভোটে কোনও আসন পায়নি। এবারও কোনও আসন পাবে না তাঁরা। আগেই বুঝে গিয়েছে। তাই এসব করে লোক হাসাচ্ছে’।