নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে গোরু-কয়লা পাচার, রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি ইস্যুতে সক্রিয় সিবিআই ও ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা। এবার সিবিআইয়ের নাম ব্যবহার করেই প্রতারণার জাল কলকাতায়। ফাঁদে পা দিয়ে হাজার হাজার টাকা খোয়ালেন এক যুবক। এক ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।

Cyber Crime : মধুচক্রের আড়ালে লাখ লাখ টাকার প্রতারণা! তেলঙ্গানায় গ্রেফতার ৯
অচেনা নম্বর থেকে গড়িয়াহাটের বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছে Whatsapp-এ ফোন আসে। নিজেকে আইপিএস অফিসার রাকেশ আস্থানা হিসেবে পরিচয় দেন প্রতারক। সিবিআইয়ের অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়া হয়। সিবিআইয়ের নাম করে প্রতারণা করে ওই যুবকের থেকে ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

West Bengal Latest District : বাবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ছেলেকে অপহরণ, ফিল্মি কায়দায় শিশুকে উদ্ধার পুলিশের
রাকেশ আস্থানা দিল্লির পুলিশ কমিশনার ছিলেন। সিবিআই অধিকার্তার পদও তিনি সামলেছেন। তবে বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত। রাকেশের নামে করে গড়িয়াহাটের বাসিন্দাকে ইউটিউবে ভিডিয়ো আপলোড করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। একই সঙ্গে কলকাতা ইউটিউব অফিসের শাখায় যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে নির্দেশ পরিমাণ টাকা জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়।

টাকা খোয়া যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার শিকার। কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক ওই ইংরেজি দৈনিককে জানিয়েছেন, রাকেশ আস্থানার নাম ভাঁড়িয়ে ওই ব্যক্তিকে ফোন করে প্রতারক। তাঁকে ভয় পাইয়ে টাকা হাতিয়ে নিতে সফল হয় সে। যে নম্বর থেকে Whatsapp-এ ফোন করা হয়েছিল, তাঁর প্রোফাইল পিকচারেও এক পুলিশ আধিকারিকের ছবি ছিল বলে জানা গিয়েছে। টাকা পাঠানোর সঙ্গে সেই ছবি এক মহিলার ছবিতে পরিবর্তিত হয়।

Uttar 24 Parganas News : বেদেনীর ঝাড়ফুঁকে দ্বিগুণ হল টাকা-গয়না! আলমারি খুলতে মাথায় বাজ জগদ্দলের ঝর্ণার
ইংরেজি দৈনিককে অভিযোগকারী বলেন, ‘রাকেশ আস্থানার নাম নিয়ে আমাকে ফোন করা হয়। তিনি দিল্লি থেকে বলছেন বলে জানানো হয়। বলা হয়, প্রয়োজন হলে আমি তাঁর নাম গুগলেও খুঁজে বের করতে পারি। সে বলে স্থানীয় থানা থেকে জানতে পারেছেন যে আমার কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই। কিন্তু ইউটিউব একটি আপত্তিকর ভিডিয়োয় আমার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছে এবং সেটা আপলোড করার আগে সিবিআইকে জানিয়েছে।’

তিনি আরও জানান আমার নামে ৩৭৬ ধারায় মামলা হতে পারে। তা রুখতে আমি যেন কলকাতার ইউটিউব অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখনই আমার থেকে দু’দফায় ১১ হাজার ৫০০ টাকা চাওয়া হয়। আমি ভয় পেয়ে দু’বার সেই অঙ্কের টাকা পাঠাই। পরে ফের ২৫ হাজার ৫০০ টাকা পাঠানোর কথা বলা হয়, আমি সেটাও পাঠাই। তখন ফোনে ওই ব্যক্তি আমাকে বলেন, ‘তুমি খুব ভালো ছেলে। ৫০০ টাকা কেটে নিয়ে বাকি সব টাকাই তুমি ফেরত পেয়ে যাবে।’ অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনার তদন্তে নেমেছে গড়িয়াহাট থানার পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version