এই সময়: ক্যালেন্ডার বলছে, ‘ভরা বর্ষা’। পরিসংখ্যান বলছে, ‘বৃষ্টি নেই’। কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘গতিক সুবিধার নয়।’ আর আবহবিদরা, কিছুই বলতে পারছেন না। মৌসম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী জুলাই শেষ হওয়ার আগেই দেশ স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টি পেয়েছে। দেশের উত্তর, পশ্চিম এবং দক্ষিণের বেশ কিছু জায়গায় প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। তবে ভরা বর্ষা না পেয়ে অনেকটাই হতাশ তিন রাজ্য। বাংলা ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ড। বাংলার দক্ষিণভাগে এ বছর বর্ষার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণের প্রতিযোগিতায় কালবৈশাখীর বৃষ্টি পর্যন্ত হারিয়ে দিয়েছে জুন-জুলাইয়ের বৃষ্টিকে।

Rainfall Forecast : ক্রমশ গভীর হচ্ছে নিম্নচাপ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে তুমুল দুর্যোগ
আলিপুর হাওয়া অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কলকাতায় বর্ষার চার মাসের মধ্যে প্রথম দু’মাসে ২৪ ঘণ্টায় ২০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হয়েছে এমন ঘটনা ২০২৩-এ মাত্র পাঁচবার ঘটেছে। তার মধ্যে দু’বারই কালবৈশাখীর দৌলতে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, ২০২৩-এর ৩০ জুলাই রাত পর্যন্ত একদিনে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির নজির রয়েছে ২৭ এপ্রিল। সে দিন শহরে কালবৈশাখীর প্রভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৩৪.৮ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল। ২৫ মে, আবার কালবৈশাখীর জন্যই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহর ২৭.৮ মিমি বৃষ্টি পায়। গোটা জুলাই মাসে কলকাতা ২০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি পেয়েছে এমন একটা দিনও নেই।

Kolkata Weather Today: তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে কি তবে এবার ঝেঁপে বৃষ্টি?
তবে, এর পরেও পুরোপুরি হতাশ নন আবহবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওডিশার উত্তরে তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপ জায়গা পরিবর্তন করে বাংলা ও ওডিশার সীমানা বরাবর অবস্থান করছে। একটি মৌসুমি অক্ষরেখা অমৃতসর, বরেলি এবং পাটনা পেরিয়ে বাঁকুড়ার উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর প্রভাবে আজ সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version