কুকুরের কামড়ে গুরুতর আহত ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে কোলাঘাটের সাহাপুর গ্রামে। আহতের নাম অয়ন পাল। আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। ছাত্রের গোপনাঙ্গের বেশকিছুটা অংশ কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে কুকুরের দল। আহত ছাত্রের উন্নতমানের সার্জারির প্রয়োজন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও অয়নের বাবা পেশায় শ্রমজীবী। তাঁর পক্ষে অস্ত্রোপচারের বিপুল পরিমান খরচ বহন করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, গতকাল সকালে বাড়ির কাছেই রাস্তায় একদল কুকুর অয়নের ওপর হামলা করে। ঘিরে ধরে কামড়াতে থাকে তাকে। সেই সময় একটি কুকুর অয়নের গোপনাঙ্গে কামড় দেয়। কামড়ে ছিন্নভিন্ন করে দেয় তার নিম্নাঙ্গের বেশ কিছুটা অংশ। এদিকে অয়নের আর্তনাদ শুনে স্থানীয় এক দোকানদার ছুটে যান। প্রথমিকে কুকুরগুলোকে তাড়াতে সক্ষম হননি তিনি। তারপর হাতের সামনে একটা চেয়ার পেয়ে সেটা দিয়েই অনবরত কুকুরটাকে আঘাত করতে থাকেন তিনি। একটা সময় অয়নকে ছেড়ে দেয় কুকুরটি। গুরুতর আহত অবস্থায় অয়নকে প্রথমে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসা চলছে অয়নের।

Viral News: শখপূরণে মানুষ থেকে হয়েছেন কুকুর! প্রথমবার রাস্তায় চার পায়ে হেঁটে কেমন মজা? জানালেন নিজেই
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন উন্নতমানের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে অয়ন পালের। এদিকে অয়নের বাবা পেশায় শ্রমজীবী। কার্যত দিন আনা দিন খেয়ে চলে তাঁর সংসার। তাই তাঁর পক্ষে অস্ত্রোপচারের ওই বিপুল খরচ জোগার করা কার্যত অসম্ভব। অত টাকা খরচ করার সামর্থ্য তাঁর নেই। এই পরিস্থিতিতে তাঁর কাতর আবেদন, সরকারি চিকিৎসার মাধ্যমেই যেন ছেলে সুস্থ হয়ে ওটে সেই ব্যবস্থা করা হোক। প্রাথমিকভাবে গ্রামসভায় সদ্য নির্বাচিত এক প্রতিনিধি ওই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছেন। কোলাঘাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের তরফে তমলুক হাসপাতালের সবরকম ভাবে সুচিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এখন দেখার কতদিনে সুস্থ হয় ওই ছাত্র।

Malda News Today : গোয়ালঘরে গরু বাঁধতে যেতেই বোমা বিস্ফোরণ, মালদায় গুরুতর আহত বালক
প্রসঙ্গত, পথ কুকুরদের উপদ্রব বর্তমানে সব জায়গাতেই। শিশুদের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। মাঝে মধ্যেই শিশুদের ওপরে পথ কুকুরদের আক্রমণের খবর পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে বাবা মায়েদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত যে সমস্ত এলাকায় কুকুরের উৎপাত বেশি, সেই সমস্ত জায়গায় কোনওভাবেই যেন শিশুদের দিয়ে কোনও খাবার আনতে না পাঠান হয়। একইসঙ্গে রাস্তায় বেশি কুকুর থাকলে শিশুদের একা বাড়ি থেকে না বেরোতে দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version