রিষড়া কাণ্ডের তদন্তে NIA সোমবার রাত দশটা নাগাদ রিষড়া থানায় আসে। NIA-এর চার সদস্যের একটি দল থানার আধিকারীকদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনায় অভিযোগ কী হয়েছিল, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল এই মামলা সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেন। শ্রীরামপুর থানাতেও যান তদন্তকারীরা।

Hooghly News : &amp#39;বাবার প্রত্যাশা পূরন করতে পারিনি, প্রতিষ্ঠিত হয়েই ফিরব&amp#39;! চিঠি লিখে বাড়ি ছাড়ল ছাত্র
গত ৩ রা এপ্রিল রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয় রিষড়া সন্ধাবাজার এলাকায়। পর দিন রিষড়া চার নম্বর রেল গেট সহ কয়েকটি জায়গায় অশান্তি ছড়ায়। ৪ ঠা এপ্রিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রিষড়ায় এসে শান্তির বার্তা দেন। রিষড়া ও শ্রীরামপুর থানা এলাকায় দীর্ঘদিন ১৪৪ ধারা জারি থাকে।

Asit Mazumder MLA : &amp#39;এই তোর লাস্ট চান্স…হাড়গোড় এক করে দেব&amp#39;, দলীয় নেতাকেই ধমক তৃণমূল বিধায়কের
অশান্তি এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি রাজনৈতিক মিটিং মিছিল বন্ধ রাখা হয়। ধীরে ধীরে শান্ত হয় রিষড়া। ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছিল তারা জামিন পান। রিষড়া কাণ্ডে অনেকে আহত হন, অনেক সম্পত্তি নষ্ট হয়। বাড়ি-ঘর ভাঙচুর হয়। আগুন দেওয়া হয় গাড়িতে।
হাইকোর্ট রিষড়া ও হাওড়ার ঘটনায় এন আই এ তদন্তের নির্দেশ দিলে রাজ্য সরকার তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। সুপ্রিম কোর্ট NIA তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ সূত্রে খবর, চারজনের একটি দল তারা রাত দশটা নাগদ রিষড়া থানায় এসেছিলেন। সেদিনের ঘটনার সমস্ত নথি তাদের তুলে দেওয়া হয়েছে।

Hooghly News : ভিনরাজ্যে রহস্যমৃত্যু হুগলির ছাত্রের, খুনের অভিযোগ পরিবারের
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার রামরাজাতলা ও রিষড়ায় হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিরোধীরা অভিযোগ ছিল,, পুলিশ-প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ছিল। এমনকী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে দাবি জানিয়েছেন বিজেপি। পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয় বলেও অভিযোগ তোলা হয়।

Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর মামলায় রামনবমীর তদন্তে এনআইএ-নির্দেশ হাইকোর্টের

অভিযোগ ছিল, ঘটনার দিন রামনবমীর মিছিল থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে অশালীন ভাষার প্রয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ করেন অনেকে। এমনকি ওই মিছিল থেকে ইট, পাথর ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। মিছিলে তলোয়ার, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করা হয় বলে অভিযোগ ছিল। পাশাপাশি, বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হয় ডিজে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাও ইট, পাথর ছোঁড়া শুরু করেন। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version