বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে বলে বারেবারেই দাবি করে রাজ্য সরকার। যদিও বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বেহাল দশার অভিযোগ তুলে সরব হন বিরোধীরা। এরই মধ্যে ক্যানসারের চিকিৎসা নিয়ে কোচবিহার এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘বেহাল পরিস্থিতি’ সামনে এল। অবস্থা এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, ক্যানসার নিয়ে কোনওরম পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলছেন রোগীরা।

জানা গিয়েছে, হাসপাতালে কেমো থেরাপির ব্যবস্থা থাকলেও শুধুমাত্র চিকিৎসক না থাকায় ক্যানসার আক্রান্তদের পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে দিশেহারা ক্যানসার আক্রান্তরা। রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে কেমো থেরাপির না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে এবার ১৫০ কিলোমিটার দূরে শিলিগুড়িতে ছুটতে হবে তাঁদের। এতে হয়রানির শিকার হতে হবে।

Cancer Doctor : কালনা হাসপাতালে যোগ দিচ্ছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ
কোচবিহার এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি চিকিৎসক রাজীব প্রসাদ জানান, ৩ বছরের চুক্তিতে এক চিকিৎসককে আনা হয়েছিল। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবনের নজরে আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Malda News : রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ভাঙচুর! চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ, তুলকালাম মালদা জেলা হাসপাতালে
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে বেসরকারি উদ্যোগ ক্যানসার চিকিৎসা পরিষেবা অনেক আগে চালু হলেও এখন তা ধুঁকছে। ফলে বাসিন্দাদের ভরসা সেই শিলিগুড়ি। গত ২০১৯ সালে হাসপাতালে ক্যানসার সম্পর্কিত চিকিৎসা শুরু হয়। ক্যানসার চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি কেমো থেরাপি, এমনকী ক্যানসারের জটিল অস্ত্রোপচারও শুরু হয়। প্রথমদিকে এই বিভাগে দু’জন চিকিৎসক ছিলেন। সেই সময় সপ্তাহে ৬ দিন ক্যানসার সংক্রান্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হত। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসা জন্য আসতেন। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় বছর খানেক আগে, যখন একজন চিকিৎসক চলে যান। তারপর থেকে একজন চিকিৎসককে দিয়েই সপ্তাহে তিনদিন ক্যানসারের পরিষেবা চালানো হত। কিন্তু গত জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেই একমাত্র চিকিৎসকও চলে যাওয়ায় ক্যানসারের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ। যার জেরে হাসপাতালে এসেও ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা।

Buddhadeb Bhattacharya Health : কেন বার বার ছুটতে হয় হাসপাতালে? কোন রোগে আক্রান্ত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য?
প্রসঙ্গত, ক্যানসারে চিকিৎসা এমনিতেই ভীষণ ব্যববহুল। অনেকের পক্ষেই নার্সিং হোমে বা বেসরকারি হাসপাতালে এর চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। একইরকম ব্যয়বহুল কেমোর খরচও। অন্যদিকে আবার চিকিৎসার জন্য বেশি দূরত্বও অতিক্রম করতে হবে তাঁদের। সেক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন সেই সমস্ত রোগীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version