এই সময়, তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুরের ৩৯২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। এই জেলায় ২০০৯ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১২ সালে শিক্ষক নিয়োগ হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে এই নিয়োগ ঘিরে হাইকোর্টে মামলা হয়। কারও আত্মীয় ইন্টারভিউ বোর্ডে ছিলেন না বলে শিক্ষকদের একটি ঘোষণাপত্র দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত কোনও ঘোষণাপত্র জমা না পড়ায় নতুন করে শিক্ষদের কাছ থেকে হলফনামা চাওয়া হয়েছে।

Justice Abhijit Ganguly : ‘১ ঘণ্টার মধ্যে ED-CBI এর আইনজীবীকে আসতে হবে’, প্রাথমিক মামলায় নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
শুধু তাই নয় ৩১ জুলাই সোমবার হলফনামার প্রোফর্মা ও নোটিস নিজের এলাকার এসআই অফিস থেকে সংগ্রহ করে ৪ অগষ্টের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১১ বছর চাকরি করার পরে এ ভাবে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ ঘিরে শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সৌমিত্র পট্টনায়েক বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিতে শিক্ষদের নিজস্ব ভূমিকা কোথায়? ১১ বছর পরে সমস্ত দায় শিক্ষকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

Justice Abhijit Ganguly : ‘… কাজ করতে অপারগ’, পর্ষদ চেয়ারম্যানকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এটা অন্যায়।’ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা কোনও নির্দেশ দিইনি। এডুকেশন কমিশনার থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কে হলফনামা দেবেন বা দেবেন না সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তবে নির্দিষ্ট সময়ে হলফনামা জমা না পড়লে আইন ও পদ্ধতি মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version