এই কাজের পিছনে কারা রয়েছেন তা জানা না গেলেও এই ঘটনার পিছনেও কোনও রাজনীতি রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসীরা। যে ব্যক্তির জালে এই ভোটার কার্ডের বান্ডিল উঠেছে, তিনি তড়িঘড়ি থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে স্থানীয় থানার তরফে সিভিক ভলান্টিয়ার এসে কার্ডগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যাঁর জালে এই কার্ডগুলি উঠেছে, তিনি অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে গতমাসেই। পঞ্চায়েত ভোটের নিরপেক্ষতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকী কোথাও কোথাও শাসকদলের তরফেও অভিযোগ করা হয়েছে। জল গড়িয়েছে আদালতেও। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যালট পেপার খেয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে ব্যালট বাক্স পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এমনকী পরবর্তীকালে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ব্যালট পেপারও। তবে ব্যালটের পর ভোটার কার্ডের বান্ডিল উদ্ধার হওয়া ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
পঞ্চায়েত ভোটের পর বেশ কিছু জায়গায় বিভিন্ন পুকুর জলাশয় থেকে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে ৷ তবে এবার রাস্তার পাশের একটি পুকুরের মধ্য থেকে ভোটার কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় হইচই পড়ে গিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ওই পুকুরের মালিক নজরুল মণ্ডল জাল হাতে মাছ ধরতে নেমেছিলেন। ভোটার কার্ড উদ্ধার হওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় লোকজন জড়ো হয়ে যান।
খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত এসে ওই ভোটার আইডি কার্ডগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই বান্ডিলের মধ্যে মোট ১৮টি কার্ড ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারমধ্যে স্থানীয় ও বিভিন্ন এলাকার মানুষের পরিচয়পত্র কার্ড। বাসিন্দাদের অভিযোগ যেভাবে এবার ভোট হয়েছে তাতে ভোটার কার্ডগুলি কোনও একটি রাজনৈতিক দল এগুলি ব্যবহার করেছে। শাসকবিরোধী উভয় পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। কিভাবে এই ভোটার কার্ডগুলি পুকুরে আসলো তা নিয়েই ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুকুর নজরুল মণ্ডল বলেন, ‘এটা আমার পুকুর। মাছ ধরতে এসে জাল ফেলতেই একগুচ্ছ ভোটার আইডি কার্ড উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১৮টি আইডি কার্ড ছিল। গোপালনগর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে আইডি কার্ডগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।’